মহামারি করোনা থেকে বাঁচতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু লকডাউনে ঘরবন্দি মানুষ আরো ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। ইউনিসেফের তথ্য সে রকমই ইঙ্গিত দিচ্ছে।

এদিকে করোনাকালে শিশু জন্মহারে এশিয়ার দেশ ভারত শীর্ষে থাকবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত মার্চ থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে ভারতে দুই কোটির বেশি শিশু জন্ম নিতে পরে বলে হিসাব দিয়েছে জাতিসংঘের শিশুকল্যাণ সংস্থা ইউনিসেফ। এ সময়ে বিশ্ব জুড়ে ১১ কোটি ৬০ লাখ শিশুর জন্ম হবে। খবর : ইন্ডিয়া ডট কম।

গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। ভাইরাসটি চীনের সীমানা পেরিয়ে নানা দেশে ছড়িয়ে পড়লে জাতিসংঘের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে মহামারি হিসেবে ঘোষণা করে। পরে এর ব্যাপকতা বাড়লে গত মার্চ মাসে করোনার হানাকে অতিমারি হিসেবে ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাটি। এখনো এই ভাইরাসের কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়নি বলে এটি কবে শেষ হবে কেউ বলতে পারছে না।

আগামী ১০ মে আন্তর্জাতিক মাতৃদিবস। তার আগে ইউনিসেফ মার্চ থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে সম্ভাব্য শিশু জন্মের এই হিসাব পেশ করেছে।

সেখানে সংস্থাটি বলেছে, ১১ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর অবধি ভারতে দুই কোটি ১০ লাখ শিশুর জন্মের সম্ভাবনা আছে। আর জানুয়ারি থেকে হিসাব করলে সংখ্যাটা দাঁড়ায় দুই কোটি ৪১ লাখ। জাতিসংঘের জনসংখ্যা বিভাগের ২০১৯ সালের তথ্যসূত্র ধরে এই হিসাব করা হয়েছে।

১১ মার্চ থেকে ১৬ ডিসেম্বর সময়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শিশু জন্ম নেবে চীনে; এক কোটি ৩৫ লাখ শিশু জন্মাতে চলেছে সেখানে। তৃতীয় অবস্থানে থাকবে নাইজেরিয়া ৬৪ লাখ শিশু জন্মানোর মধ্য দিয়ে। পাকিস্তান আর ইন্দোনেশিয়ায় যথাক্রমে ৫০ লাখ আর৪০ লাখ শিশুর জন্ম হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ইউনিসেফ উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, এই পাঁচটির মধ্যে অধিকাংশ দেশে এমনিতেই নবজাতকের মৃত্যুহার বেশি। কোভিড পরিস্থিতিতে তা আরো বাড়তে পারে। সেইসঙ্গে ইউনিসেফের আশঙ্কা, কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধের জেরে প্রসূতি এবং নবজাতকের স্বাস্থ্য পরিষেবায় বড় রকম বিঘ্ন ঘটতে পারে।