সম্প্রতি অভিনব চুরির দুটি ঘটনা দেখা গেছে ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের জামশেদপুরে। একটি ঘটনায় করোনায় আক্রান্ত এক ব্যক্তির বাড়িতে রান্না করে মাংস-ভাত খেয়ে ৫০ হাজার রুপি ও সমমূল্যের গয়না নিয়ে চম্পট দেয় চোরেরা। অন্য এক ঘটনায় দুটি বাড়ি থেকে চুরি হয়েছে স্যানিটাইজার এবং অন্যান্য মূল্যবান সামগ্রী। সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুস্তান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।

জামশেদপুরের উপপুলিশ সুপার অলোক রঞ্জন গত শনিবার বলেন, ‘টাটা মেইন হাসপাতালে ভর্তি এক করোনায় আক্রান্তের বাড়ি থেকে গত বৃহস্পতিবার নগদ ৫০ হাজার রুপি ও ৫০ হাজার টাকার গয়না চুরি হয়েছে। ওই অঞ্চলটিকে কনটেনমেন্ট হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছি। প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, চোরেরা দরজা ভেঙে ওই বাড়িতে ঢোকে। এরপর তারা চাপাটি (এক ধরনের রুটি), খাসির মাংস ও ভাত রান্না করে খায়। তারপর চুরি করে পালায় বলে অভিযোগ করা হয়েছে।’

যে ব্যক্তির বাড়িতে চুরি হয়েছে, তাঁর ভাই থানায় লিখিত অভিযোগে বলেছেন, ‘গত ৮ জুলাই আমার ভাইয়ের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসার পরেই তাঁর বাড়ি ও আশপাশের অঞ্চলকে কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তাঁকে টাটা মেইন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর বাড়ি সিল করে দেয় পুলিশ। তাঁর স্ত্রী-সন্তানরা এক মাস ধরে গ্রামের বাড়িতে আছে। আমার ভাই আমাকে বাড়ির অবস্থা দেখে আসতে বলে। আমি গিয়ে দেখতে পাই চুরি হয়েছে।’

গত বৃহস্পতিবার রাতের অপর চুরির ঘটনায় টাকা ও মোবাইল ফোন চুরি হয়েছে।

ভিন্ন থানা এলাকায় এমন অভিনব চুরির ঘটনায় জামশেদপুর শহরে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। দুটি ঘটনারই তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।