সন্ধ্যার পর সিএনজি স্টেশনে ভিড়
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2015/09/25/photo-1443199946.jpg)
গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ সিস্টেমের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেশের সব সিএনজি স্টেশন শনিবার ২৪ ঘণ্টা রাখার ঘোষণা দিয়েছিল তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন ও ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে শুক্রবার মধ্যরাত থেকে।
তার আগে শুক্রবার বিকেল থেকেই যানবাহনগুলো সিএনজি সংগ্রহের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন স্টেশনে ভিড় জমায়। ঈদের ছুটির মধ্যেও স্টেশনগুলোতে দীর্ঘ লাইন দেখা যায় সিএনজিচালিত যানবাহনের।
রাজধানীর মিরপুর, মহাখালী, পুরানা পল্টন ও পরীবাগ ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
পরীবাগে কয়েকজন সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালক জানান, ঈদের মধ্যে মানুষ পরিবার নিয়ে ঘুরতে বের হবে। স্বাচ্ছন্দে যাতায়াতের জন্য অনেকেই অটোরিকশা ব্যবহার করবে। যেহেতু কাল আর সিএনজি পাওয়া যাবে না, তাই আজই অটোরিকশায় সিএনজি নিয়ে রাখছেন।
পুরানা পল্টনে এক প্রাইভেটকার চালক জানান, তিনি ভাড়ায় গাড়ি চালান। কালকেও তাঁর ভাড়া রয়েছে। যেহেতু আজ মধ্য রাতের পর সিএনজি স্টেশন বন্ধ হয়ে যাবে, তাই সন্ধ্যায় তিনি সিএনজি নিয়ে রাখছেন।
এ চালক আরো জানান, তিনি ঘণ্টা ধরে লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন সিএনজি নেওয়ার জন্য।
সিএনজি সরবরাহকারী কয়েকজন জানালেন, মূলত বিকেলের পর থেকেই সিএনজি নেওয়ার জন্য অনেক গাড়ি আসছে। সন্ধ্যার পর চাপ বেড়েছে। একদিন বন্ধ থাকবে_মূলত এ কারণেই অনেকে অগ্রিম সিএনজি সংগ্রহ করছেন বলে জানান তাঁরা।
গত ২২ সেপ্টেম্বর তিতাসের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) গোলাম মোস্তফা স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ সিস্টেমের জরুরি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য দেশের সব সিএনজি স্টেশনে ঈদের দিন শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে পরের দিন শনিবার দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে। এ সময়ে সব শ্রেণির গ্যাস ব্যবহারকারীর গ্যাস সরবরাহ সাময়িকভাবে বিঘ্নিত হতে পারে।