সৌদি যুবরাজের মৃত্যু ঘিরে ‘ধোঁয়াশা’
সৌদি আরবের প্রয়াত বাদশা ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদের ছেলে যুবরাজ বন্দর বিন সৌদ ফয়সাল বিন আব্দুল আজিজ আল সৌদ (৭২) মারা গেছেন। সৌদির রাজকীয় আদালত ও রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএর বরাত দিয়ে আজ সোমবার এ খবর জানিয়েছে নিউইয়র্ক টাইমস। তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ‘ধোঁয়াশা আছে’ বলে খবরে উল্লেখ করা হয়।
যুবরাজের জানাজার আগামীকাল মঙ্গলবার রিয়াদের ইমাম তুর্কি বিন আব্দুল্লাহ মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে বলে আরব নিউজের খবরে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে যুবরাজের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সৌদি আরবের পক্ষ থেকে আর কিছু জানা যায়নি বলেও খবরে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টার জানায়, সৌদি আরবের শাসনক্ষমতার চতুর্থ দাবিদার ছিলেন বন্দর বিন আব্দুল আজিজ । তিনি দীর্ঘকাল দেশটির বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করে সর্বশেষ রিয়াদের গভর্নর পদ থেকে ‘সাময়িক অবসর’ নিয়েছিলেন।
কিছুদিন আগে বিশ্বগণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হয়েছিল, সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা আবদুল আজিজ ইবনে সৌদের জীবিত ১২ সন্তানের মধ্যে ৮ জনই দেশটির বর্তমান বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজকে ক্ষমতায় চান না। ৭৯ বছরের সালমানের পরিবর্তে তাঁর ছোট ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজকে সিংহাসনে বসাতে চাচ্ছেন তাঁরা। এই খবর প্রকাশিত হওয়ার পরই রিয়াদের গভর্নর পদ থেকে ‘সাময়িক অবসর’ নেন বন্দর।
এই খবর প্রকাশের পর পরই বন্দর বর্তমান বাদশাহর রোষানলে পড়েন বলে খবরে উল্লেখ আছে। ডেইলি স্টার পত্রিকাটি আরো জানায়, বাদশাহ সালমানের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে রাজপরিবারের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। আর এই ক্ষোভের পেছনে বাদশাহ বন্দরকে দায়ী মনে করতেন বলে জনশ্রুতি আছে।
সেই সময় ইনডিপেনডেন্টে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে ডেইলি স্টারের প্রতিবেদনে। যেখানে লেখা আছে, বাদশাহ সালমানের সামনে দুটি পথ খোলা রেখেছিল তাঁর পরিবার। হয় আবদুল আজিজের তৃতীয় ছেলে আহমেদকে ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করতে পারেন নয়তো ক্ষমতা হস্তান্তর করে দেশ ছেড়ে চলে যেতে পারেন তিনি।
আরব নিউজের খবরে বলা হয়েছে, প্রয়াত যুবরাজ বান্দর বিন ফয়সাল ১৯৪৩ সালে রিয়াদে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাধ্যমিক এবং ব্রিটিশ রয়েল এয়ারফোর্স কলেজ থেকে ডিগ্রি অর্জন করেন।