ক্যাম্পের মধ্যেই বাংলাদেশিকে ‘ধর্ষণ’, বিএসএফ সদস্য গ্রেপ্তার

ক্যাম্পের ভেতর বাংলাদেশি এক নারীকে গ্রেপ্তারের পর ধর্ষণের অভিযোগে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতীয় পুলিশ। গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি বিএসএফের একজন উপপরিদর্শক (এসআই)।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার ঝাউডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে। খবর ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।
গাইঘাটা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার ওই বিএসএফ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে ২৭ জুলাই রাতে। এটি প্রকাশ্যে আসার পর বিএসএফ নিজেই ওই জওয়ানকে স্থানীয় পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে। ওই রাতে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে আরেক বাংলাদেশি নারীও ছিলেন।
দুই নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ—তাঁরা বেআইনিভাবে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করেছেন তাই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আর বিএসএফ সদস্যকে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

খবরে বলা হয়, ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার গাইঘাটা থানার ঝাউডাঙ্গা সীমান্ত এলাকায় এক বাংলাদেশি নারী ও তাঁর বান্ধবী সীমান্ত পার হয়ে ভারতে প্রবেশের সময় বিএসএফের হাতে আটক হন। গত বুধবার রাতে তাঁদের আটক করে বিএসএফ। আটকের পর ওই দুই নারীকে বিএসএফের ১৫৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ক্যাম্পের দায়িত্বে ছিলেন বিএসএফের ওই এসআই।
সেই ক্যাম্পে এসআই এক নারীকে ধর্ষণ করেন এবং অন্য নারীকে শ্লীলতাহানি করেন। ধর্ষণের পর ওই দুই নারীকে ছেড়ে দেন তিনি। ছাড়া পাওয়ার পর গতকাল বৃহস্পতিবার গাইঘাটা থানায় এসে ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন ওই দুই নারী। এরপর গাইঘাটা থানার পুলিশ ওই এসআইকে গ্রেপ্তার করে।
গতকাল বৃহস্পতিবার বনগাঁর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ওই দুই নারীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। ওই দুই নারীর মেডিকেল পরীক্ষা করা হয় বনগাঁ জেলার সরকারি হাসপাতালে।
ভারতে গ্রেপ্তার হওয়া ওই দুই নারীর বাড়ি বাংলাদেশের গোপালগঞ্জ জেলায়।