নির্বাচনি সহিংসতায় হাত-পায়ের রগ কর্তন, বাড়ি ভাঙচুর
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/10/31/shibgonj-bogra.jpg)
বগুড়ার শিবগঞ্জে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এক যুবকের হাত-পায়ের রগ কেটে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ সময় ২০টি বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়।
আহত যুবকের নাম রবিউল ইমলাম (২৮)। তিনি নিজেও আওয়ামী লীগের কর্মী। তবে শিবগঞ্জ উপজেলার বিহার ইউনিয়নে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মহিদুল ইসলাম রবিউলের ভাই শিমুল হত্যা মামলার প্রধান আসামি হওয়ায় রবিউল ও তার পরিবার আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী যুবলীগনেতা মতিউর রহমানের পক্ষে কাজ করছিলেন।
রবিউলের ভাই বিহার ইউপি সদস্য আবু রায়হান জানান, এবার ভোটে প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই মইদুল ও তার কয়েকজন ক্যাডার গ্রামে গ্রামে তাণ্ডব শুরু করে। গত ১৭ অক্টোবর রাতে তারা বিহার হাটে অবস্থিত বিদ্রোহী প্রার্থীর মোটরসাইকেল প্রতীকের অফিসে হামলা চালিয়ে দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে যখম করে এবং হাটের দুটি দোকান ভাঙচুর করে। ওই ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের হলেও পুলিশ কোনো আসামিকেই গ্রেপ্তার করেনি। এমনকি আসামিরা জামিনও নেয়নি। আজ রোববার সকাল থেকে তারা বিহার বাজারে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের মারপিট শুরু করে। পরে সম্মিলিতভাবে তাদের বাধা দিলে তারা বাজার ছেড়ে বিভিন্ন পাড়ায় ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। একপর্যায়ে তার বাড়িতে হামলা করে সেখানে থাকা তার ভাই রবিউলকে তুলে নিয়ে গিয়ে দুই হাত ও ডান পায়ের রগ কেটে নাগর নদে তাকে ফেলে দেয়। একই সময় তাদের মোন্নাপাড়ার অন্তত ছয়টিসহ আশপাশের অন্তত ২০টি বাড়িঘরে হামলা ও ভাঙচুর করে তারা।
রায়হান আরও জানান, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর প্রকাশ্যে তার ভাই শিমুলকে মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন তরে মুমূর্ষু অবস্থায় মইদুল ও তার সহযোগীরা গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় ফেলে দেয়। সেখানেই মারা যান শিমুল। ওই মামলায় প্রধান আসামি মইদুল চেয়ারম্যান। এদিকে এবার নির্বাচনে তার বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ার কারণেই এই হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি।
এ বিষয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করেও মুঠোফোন বন্ধ থাকায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মইদুল ইসলামের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
শিবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনার পর পরই শিবগঞ্জ হাসপাতাল এলাকায় মইদুলকে আটকে অভিযান চালানো হয়। এ সময় তিনি তার মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে গেছেন। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে উল্লেখ করে ওসি বলেন, বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।