Skip to main content
NTV Online

মত-দ্বিমত

মত-দ্বিমত
  • অ ফ A
  • প্রতিক্রিয়া
  • সমসাময়িক
  • বহির্বিশ্ব
  • ব্যঙ্গ রঙ্গে
  • ফিরে দেখা
  • স্মরণ
  • বিদেশি কলাম
  • নগর দর্পণ
  • অতিথি কলাম
  • খেলাধুলা
  • পাঠকের কলাম
  • বিবিধ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
  • বাংলাদেশ
  • বিশ্ব
  • খেলাধুলা
  • বিনোদন
  • অর্থনীতি
  • শিক্ষা
  • মত-দ্বিমত
  • শিল্প ও সাহিত্য
  • জীবনধারা
  • স্বাস্থ্য
  • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  • ভ্রমণ
  • ধর্ম ও জীবন
  • নির্বাচন
  • সহজ ইংরেজি
  • প্রিয় প্রবাসী
  • আইন-কানুন
  • চাকরি চাই
  • অটোমোবাইল
  • হাস্যরস
  • শিশু-কিশোর
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • English Version
  • এনটিভি বাজার
  • এনটিভি কানেক্ট
  • যোগাযোগ
  • English Version
  • এনটিভি ইউরোপ
  • এনটিভি অস্ট্রেলিয়া
  • এনটিভি ইউএই
  • এনটিভি মালয়েশিয়া
  • এনটিভি কানেক্ট
  • ভিডিও
  • ছবি
  • এনটিভির অনুষ্ঠান
  • বিজ্ঞাপন
  • আর্কাইভ
  • কুইজ
Follow
  • মত-দ্বিমত
ছবি

গল ফোর্টের ইতিহাসে সাদিয়া

তানিয়া বৃষ্টির দিনরাত্রি

সুইমিংপুলে ভাবনা

ভিকারুননিসায় শিক্ষার্থীদের উল্লাস

উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থীরা

স্টাইলিশ পারসা ইভানা

অন্য এক তানজিন তিশা

স্নিগ্ধ নাজনীন নিহা

প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এনটিভিতে উৎসবের আমেজ

জুলাই অভ‍্যুত্থান স্মরণে মাসব্যাপী কর্মসূচি

ভিডিও
রাতের আড্ডা : পর্ব ১১
কাজিনস : পর্ব ০৩
কাজিনস : পর্ব ০৩
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
আজ সকালের গানে (লাইভ) : পর্ব ০৭
আজ সকালের গানে (লাইভ) : পর্ব ০৭
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৫
এক্সপার্ট টুডেস কিচেন : পর্ব ৩০৫
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৩৯৮
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৩৯৮
টেলিফিল্ম : কে কখন কোথায়
টেলিফিল্ম : কে কখন কোথায়
এই সময় : পর্ব ৩৮৪৭
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৮২
আলোকপাত : পর্ব ৭৮১
আলোকপাত : পর্ব ৭৮১
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০০:৪৭, ০৯ অক্টোবর ২০১৫
আপডেট: ১০:২৪, ০৯ অক্টোবর ২০১৫
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০০:৪৭, ০৯ অক্টোবর ২০১৫
আপডেট: ১০:২৪, ০৯ অক্টোবর ২০১৫
আরও খবর
‘মা’–একটি শব্দেই পূর্ণতা
দুর্ভাগা তোফাজ্জলের জীবনের সমাপ্তিটাও হলো নিঠুর নির্মমতায়
কেমন বাংলাদেশ দেখতে চাই
জয়ের ঘনঘন বক্তব্য বদলের ব্যাখ্যা দিলেন আলী রীয়াজ
পঞ্চাশোর্ধ্ব পাঠাগারগুলো টিকিয়ে রাখতে কী করা যেতে পারে

সাদাসিধে কথা

শিক্ষকদের মান-অপমান

মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০০:৪৭, ০৯ অক্টোবর ২০১৫
আপডেট: ১০:২৪, ০৯ অক্টোবর ২০১৫
মুহম্মদ জাফর ইকবাল
০০:৪৭, ০৯ অক্টোবর ২০১৫
আপডেট: ১০:২৪, ০৯ অক্টোবর ২০১৫

১

এই দেশের শিক্ষকদের জন্য এখন খুবই একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকই এখন কোনো না কোনো আন্দোলনে আছেন। যেহেতু `আন্দোলন` শব্দটা এখন মোটামুটি একটা অশালীন শব্দ, তাই এ দেশের প্রায় সব শিক্ষক এখন দেশের মানুষের কাছে রীতিমতো একটা অপরাধী গোষ্ঠী। শিক্ষকদের জন্যে যেহেতু এই দেশে কোনো সম্মানবোধ নেই, তাই তাঁরা কেন আন্দোলন করছেন বিষয়টি কেউ খুঁটিয়ে দেখেছেন কি-না সেটা নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। ছাত্রলীগের কর্মী এখন অবলীলায় তাদের শিক্ষকের গায়ে হাত তুলতে পারে, একজন সাংসদ প্রকাশ্যে চাবুক মারার ঘোষণা দিতে পারেন, দেশের প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের বেতন-ভাতা নিয়ে খোটা দিতে পারেন কেউ কিছু মনে করেন না। আমাদের দেশের কিছু পত্রপত্রিকা বিষয়গুলো এমনভাবে উপস্থাপন করে যে, দেশের সাধারণ মানুষের কাছে পুরো বিষয়টি এক ধরনের আমোদ বলে মনে হতে পারে।

আমি একজন শিক্ষক, তাই খুবই সংকোচের সঙ্গে শিক্ষকদের জীবন নিয়ে একটি-দুটি কথা বলতে বসেছি। শিক্ষকরাও যে মনুষ্যজাতীয় প্রাণী, তাঁদেরও যে ক্ষুধা-তৃষ্ণা থাকতে পারে, পরিবার-সন্তান থাকতে পারে এবং তাঁরাও যে দেশের মানুষের কাছে একটুখানি সম্মান চাইতে পারেন বিষয়টি জেনে কেউ যদি অবাক হয়ে যান, তাহলে তার জন্য অগ্রিম ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।

আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক, কিন্তু যখনই কোনো শিক্ষক নিয়ে কথা বলতে চাই তখনই কেন জানি প্রথমে প্রাইমারি  স্কুলের শিক্ষকদের কথা মনে পড়ে। দেশের মানুষ কি জানে, এই দেশে প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকরা হচ্ছেন তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী? নতুন বেতন কাঠামোতে তাঁরা কোথায় গিয়ে ঠেকেছেন খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তাঁরা কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।

আমি এ রকম একটি প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে চিনি, যিনি তাঁর স্কুলে পৌঁছে প্রথমেই একটা ঝাড়ু এবং এক বালতি পানি নিয়ে স্কুলের টয়লেটে ঢুকে সেটা পরিষ্কার করতেন। আমি যতদূর জানি, ইদানীং স্কুলে স্কুলে একজন করে কর্মচারী দেওয়া হয়েছে, আগে স্কুল চালাতেন শুধু শিক্ষকেরা। টয়লেট পরিষ্কার থেকে স্কুলের ঘণ্টা বাজানো সবকিছুই করতে হতো শিক্ষকদের। স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা কম, ক্লাসঘরও কম। দুই ব্যাচে পড়াতে হয় তাই সেই কাকভোর থেকে একেবারে বেলা পড়ে না যাওয়া পর্যন্ত তাঁদের কোনো অবসর নেই। তাঁরা যদি ক্লাসে পড়াতে পারেন, তাহলে তাঁরা নিজেদের রীতিমতো সৌভাগ্যবান মনে করেন, কারণ বেশির ভাগ সময়েই তাঁরা ক্লাসে পড়ানোর সুযোগ পান না! এই দেশের যত ‘ফালতু’ কাজ সবকিছু এই শিক্ষকদের দিয়ে করিয়ে নেওয়া হয়। গ্রামের স্যানিটারি ল্যাট্রিন গোনা থেকে ভোটার তালিকা তৈরি করা এমন কোনো কাজ নেই, যা তাঁদের করতে হয় না।

এই দেশে সম্ভবত প্রায় আশি হাজার প্রাইমারি স্কুল আছে, এই স্কুলের শিক্ষকদের থেকে অসহায় কোনো গোষ্ঠী এই দেশে আছে বলে আমার জানা নেই। তাই আমি যখনই শিক্ষকদের নিয়ে কিছু বলতে চাই, তখনই প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকদের কথা একটিবার হলেও স্মরণ করে নিই।

২

আমার ধারণা, বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষকেরই গত কয়েক দিন থেকে খুব মন খারাপ। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাঁদের মর্যাদার জন্য আন্দোলন করছেন, আন্দোলনটি যেহেতু শুরু হয়েছে বেতনের স্কেল ঘোষণার পর তাই সবারই ধারণা আন্দোলনটি বুঝি টাকা-পয়সার জন্য! আমি জানি, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের টাকা-পয়সা খুব বেশি নেই (আমার মনে আছে, একজন লেকচারারের বেতন কত, সেটি উল্লেখ করে একবার খবরের কাগজে একটা লেখা ছাপানোর পর আমার একজন তরুণ সহকর্মীর বিয়ে ভেঙে গিয়েছিল!), সত্য-মিথ্যা জানি না, শুনেছি আমরা মাসে যত টাকা বেতন পাই একজন সচিব নাকি তাঁর গাড়ির তেলের জন্য তার থেকে বেশি টাকা পান! বেতনের বাইরে একজন শিক্ষক কী পরিমাণ সুযোগ-সুবিধা পান, সেই কথাটি লিখলে আমার আরো তরুণ সহকর্মীর বিয়ে ভেঙে যেতে পারে। তবে একবার একজন সচিবের গাড়িতে ঢাকা শহরের ভেতর দিয়ে যাওয়ার অভিজ্ঞতা হয়েছিল। সচিব মহোদয় যেন দ্রুত নিরাপদে যেতে পারেন, সে জন্য যে প্রক্রিয়ায় ট্রাফিক থামিয়ে তাঁকে যাওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছিল সেটি চমকপ্রদ! এই ব্যাপারগুলো নিয়ে আমার এক ধরনের বিস্ময় আছে, কিন্তু কোনো অভিযোগ নেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কয়েক দিন থেকে মন খারাপ আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষকদের নিয়ে কিছু খোলামেলা কথার কারণে। সেই ছোটবেলা থেকে শুনে এসেছি ‘কানাকে কানা বলিও না, খোঁড়াকে খোঁড়া বলিও না’, সেই হিসেবে এই কথাটিও নিশ্চয়ই সত্য যাঁরা টাকা-পয়সা নিয়ে এক ধরনের টানাটানির মাঝে থাকেন, তাঁদের টাকা-পয়সা নিয়ে খোটা দিলে তাঁরা কানা ও খোঁড়ার মতোই অসম্মানিত বোধ করেন।

এই দেশে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ার কারণে আমরা এখন মোটামুটিভাবে অনুমান করতে পারি একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের বেতন কত হওয়া উচিত! গত সেমিস্টারে আমাকে পাঁচটি কোর্স নিতে হয়েছে (না, এটি মুদ্রণ প্রমাদ নয় সংখ্যাটি সঠিক, পাঁচ), আমার পরিচিত একজন একটি প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে মাত্র একটি কোর্স নেওয়ার জন্যে প্রতি মাসে আমার বেতন থেকে বেশি টাকা পায়! কাজেই কোনো কাজের জন্য কত টাকা বেতন হওয়া উচিত, সেটি কখনই সঠিকভাবে ব্যাখ্যা করা যাবে না, আমি শুধু বিনয় সহকারে সবাইকে বলার চেষ্টা করতে পারি, আমাদের যত টাকা বেতন দেওয়া হয় আমরা সেই বেতন পাওয়ার যোগ্য নই- আমাদের আরো কম টাকা বেতন দিয়ে আমাদের একটা শিক্ষা দেওয়া উচিত ছিল, কথাটি আমাদের জন্য সম্মানযোগ্য নয়।

নতুন বেতন স্কেল দেওয়ার পর সাংবাদিকরা মাঝেমধ্যেই এ ব্যাপারে আমার মন্তব্য জানতে চেয়েছে, আমাকে বাধ্য হয়ে তখন বেতন স্কেলটি খুঁজে বের করে দেখতে হয়েছে। বেতনের টাকার পরিমাণ নয়, বিভিন্ন পদের মানুষ কে কোথায় অবস্থান করছেন, সেটি দেখে আমি আঁতকে উঠেছি। ‘পদমর্যাদা’ বলে একটি বিচিত্র শব্দ আছে। বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ একটি মন্ত্রণালয়ের অত্যন্ত ক্ষমতাশালী একজন সচিব আছেন। কোনো একটি সভায় কোনো একটি বিষয় ব্যাখ্যা করার জন্য তিনি আমাকে বলেছিলেন, ধর্ষিত হতে যাচ্ছে এ রকম একটি মেয়ে যদি আবিষ্কার করে তার বাঁচার কোনো উপায় নেই, তাহলে তার জন্য বুদ্ধিমানের কাজ হবে ধর্ষণটি উপভোগ করার চেষ্টা করা (এটি এই সচিবের নিজের উক্তি নয়, ক্লেটন উইলিয়াম নামের একজন আমেরিকান রাজনীতিবিদের উক্তি)। পদমর্যাদায় এই সচিব নিশ্চয়ই প্রফেসরদের থেকে ওপরে, কাজেই আমি জানার চেষ্টা করছি কোনো একটি সভায় যদি এই সচিব এসে উপস্থিত হন তাহলে কি আমাকে উঠে দাঁড়িয়ে তাকে একটা স্যালুট দিতে হবে? এ দেশের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কমিটিতে আমার নাম আছে, এতদিন এই দেশের কালচারে একে অন্যকে সম্মান দেখানোর যে বিষয়টি আছে, আমি সেভাবেই চালিয়ে এসেছি। ‘পদমর্যাদা’ নামে এই বিষয়টি আবিষ্কার করার পর এখন আমি খুবই দুশ্চিন্তায় আছি। তাহলে সভায় একজন একজন করে ঢোকার পর আমাকে কি কখনো কখনো উঠে দাঁড়িয়ে স্যালুট করতে হবে? বিষয়টি কে আমাকে বুঝিয়ে দেবে? এই ধরনের সব সভা থেকে একশ হাত দূরে থাকা সম্ভবত আমাদের জন্য একমাত্র সম্মানজনক সমাধান।

আমি যদি ঠিকভাবে বুঝে থাকি, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এই আন্দোলন বেতনের টাকা বাড়ানোর জন্যে আন্দোলন নয়, পদমর্যাদা নামক বিভাজন প্রক্রিয়া থেকে উদ্ধার পাওয়ার আন্দোলন। সময়ে-অসময়ে উঠে দাঁড়িয়ে স্যাল্যুট দেওয়ার বিড়ম্বনা থেকে উদ্ধার পাওয়ার আন্দোলন!

'পদমর্যাদা' শব্দটি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে আমার একটা ঘটনার কথা মনে পড়ে গেল। আমরা সবাই যুদ্ধাপরাধী কামারুজ্জামানের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কারণে শেরপুরের সোহাগপুরে তৈরি বিধবাপল্লীর নাম শুনেছি। বেশ কয়েক বছর আগে  মতিয়া চৌধুরী আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে বিধবাপল্লী এলাকায় একটা কলেজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। আমি দেশের বাইরে ছিলাম, দেশে ফিরেই খুব আনন্দের সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলাম। রওনা দেওয়ার পর আবিষ্কার করলাম এটি অনেক বড় অনুষ্ঠান। সেখানে শুধু যে কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী আছেন তা নয়, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদও আছেন। এত গুরুত্বপূর্ণ দুজন মন্ত্রী একসঙ্গে, বলা যেতে পারে সেই এলাকায় রীতিমতো আলোড়ন তৈরি হয়ে গেল। কোনো একটা অনুষ্ঠানে সবাই মিলে স্টেজে উঠবে, এ বড় বড় দুজন মন্ত্রীর সঙ্গে আমিও আছি। স্থানীয় নেতাকর্মীর ভিড়, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সবকিছু মিলিয়ে আমি একটু জবুথবু অবস্থায় পড়ে গেলাম।

হঠাৎ শুনতে পেলাম, মাননীয় কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী উপস্থিত সবাইকে বিশাল একটি ধমক দিয়ে আমাকে দেখিয়ে বললেন, ‘এই যে, ইনি একজন শিক্ষক। উনাকে সবার আগে যেতে দাও। আমরা সবাই তার পেছনে যাব।’

অবিশ্বাস্য ব্যাপার, আমাকে সবার সামনে নিয়ে আসা হলো। আমি বিব্রতভাবে হেঁটে যাচ্ছি, দু-দুজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী আমার পেছনে পেছনে হেঁটে যাচ্ছেন। সারা জীবনই ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে সম্মান এবং ভালোবাসা পেয়ে এসেছি কিন্তু দুজন এত বড় বড় মন্ত্রী একজন শিক্ষককে এভাবে সম্মান দেখাবেন, সেটি আমি কল্পনা করিনি। শিক্ষকদের কত জায়গায় কতভাবে অসম্মান করা হয়েছে, কিন্তু এই ঘটনাটির কথা মনে করে জীবনের অনেক দুঃখ এবং ক্ষোভের কথা আমি ভুলে যেতে পারি।

৩

শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগের কোনো শেষ নেই। দুঃখের ব্যাপার হচ্ছে, এই অভিযোগগুলোর বেশির ভাগই সত্য। তারপরও একটু দুঃখ হয় যখন দেখি কিছু শিক্ষকের জন্য ঢালাওভাবে সব শিক্ষককে অবমাননা সইতে হয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের ছাত্রছাত্রীদের না পড়িয়ে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রছাত্রীদের পড়িয়ে টাকা উপার্জন করতে ব্যস্ত থাকেন, এই অভিযোগ প্রায় সব সময়েই শোনা যায়। কিন্তু কেউ কখনো একটা বিষয় লক্ষ করেন না, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অসংখ্য বিভাগ রয়েছে তার মাঝে শুধু হাতেগোনা দু-একটি বিভাগের শিক্ষকেরা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র পড়াতে পারে। এই দেশের প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আছেই মাত্র অল্প কয়েকটি বিভাগ, অথচ অপবাদটি ঢালাওভাবে সব বিভাগের সব শিক্ষকের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হয়।

আমি মোটেও অস্বীকার করব না, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষকেরই অনেক বড় ধরনের সমস্যা আছে। কিন্তু তার পরেও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে এই দেশের অনেক বড় সম্পদ। একটা সময় ছিল যখন বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্বাধীনভাবে মাথা উঁচু করে থাকত, কিন্তু এখন সেই অবস্থার পরিবর্তন হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এখন স্থানীয় রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কথা বলা হয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি যখন একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থানীয় রাজনৈতিক দল নিয়ন্ত্রণ করতে শুরু করে তখন তার মৃত্যুঘণ্টা বেজে যায়। একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে গড়ে তুলতে অনেক দিন লাগে, কিন্তু সেটাকে ধ্বংস করতে খুব বেশি সময় লাগে না।

শুরুতেই বলেছি, শিক্ষকদের এখন খুব খারাপ একটা সময় যাচ্ছে! অথচ এ রকমটি হওয়ার কথা ছিল না। এই দেশের প্রায় চার কোটি ছাত্রছাত্রী, পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশের মোট জনসংখ্যাই হচ্ছে ত্রিশ-পঁয়ত্রিশ লাখ। যদি আমাদের সব ছাত্রছাত্রীকে ঠিক করে লেখাপড়া করানো যেত, তাহলে দেশটা চোখের সামনে একটা স্বপ্নের দেশ হয়ে যেত! লেখাপড়া করানোর জন্য জিডিপির ৬ শতাংশ খরচ করার কথা, অথচ সেই অংশটুকু কমতে কমতে ২ শতাংশের কাছাকাছি নেমে এসেছে। যদি সত্যি সত্যি এই দেশের সব ছেলেমেয়েকে ঠিকভাবে লেখাপড়া করানো হতো, তাহলে সবচেয়ে আনন্দে কে থাকত? এই দেশের শিক্ষকরা।

আমাদের শিক্ষকদের যথেষ্ট অসম্মান করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শিক্ষক এবং আমলাদের একেবারে মুখোমুখি দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই দেশের একজন শিক্ষক হিসেবে আমাদের মন খারাপ করার যথেষ্ট কারণ আছে। কিন্তু যখন এক টুকরা চক হাতে নিয়ে ব্ল্যাকবোর্ডের সামনে দাঁড়িয়ে আমি ছাত্রছাত্রীদের মুখের দিকে তাকাই তখন আমার সমস্ত মন খারাপ দূর হয়ে যায়। যখন ছাত্রছাত্রীরা এসে বলে তাদের তৈরি রোবট সারা দেশে চ্যাম্পিয়ন হয়ে এসেছে, তখন আনন্দে আমার বুক ভরে যায়। যখন দেশের খুব গুরুত্বপূর্ণ মানুষ টেলিফোন করে আমাদের ছাত্রদের তৈরি ড্রোনটি দেশের সত্যিকার কাজে ব্যবহার করার জন্যে আগ্রহ দেখায় তখন আমার বুকটি একশ হাত ফুলে যায়। যখন প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ছাত্রছাত্রীরা সারা দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ হয়ে ফিরে আসে আমার মনে হয় এই পৃথিবীতে আমার চেয়ে সুখী কে আছে? যখন কয়েকজন ছেলেমেয়ে এসে বলে তাদের একটি গবেষণা পেপার জার্নালে ছাপার জন্য মনোনীত হয়েছে, তখন আমার মনে হয় বেঁচে থাকার মতো এত আনন্দ আর কোথায় আছে?

চারপাশে সবাই মিলে আমাদের মন খারাপ করিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। কিন্তু আমরা শিক্ষক, যতদিন আমাদের ছাত্রছাত্রীরা আমাদের সঙ্গে আছে, কার সাধ্য আছে আমাদের মন খারাপ করিয়ে দেবে?

৭.১০.১৫

 

 

 

পাঠকের পছন্দ

গরমে ঘামাচিতে জেরবার?

ভ্রমণের সময় যা মনে রাখবেন

কীভাবে হবেন ভালো সহকর্মী?

সর্বাধিক পঠিত
  1. গায়ক অরিজিৎ সিং এবার পরিচালক, বানাচ্ছেন প্যান–ইন্ডিয়ান সিনেমা
  2. ৩ হাজার টাকার লোভে বাংলা শেখেন অমিতাভ বচ্চন
  3. ‘নেটফ্লিক্স সাহসী গল্প বলতে ভয় পায়, দর্শক বোঝে না’
  4. রোগা হওয়া প্রসঙ্গে কী জানালেন করণ?
  5. প্রিয়াঙ্কার নাকের অস্ত্রোপচার নিয়ে মুখ খুললেন প্রযোজক
  6. বাবা হচ্ছেন রাজকুমার রাও
সর্বাধিক পঠিত

গায়ক অরিজিৎ সিং এবার পরিচালক, বানাচ্ছেন প্যান–ইন্ডিয়ান সিনেমা

৩ হাজার টাকার লোভে বাংলা শেখেন অমিতাভ বচ্চন

‘নেটফ্লিক্স সাহসী গল্প বলতে ভয় পায়, দর্শক বোঝে না’

রোগা হওয়া প্রসঙ্গে কী জানালেন করণ?

প্রিয়াঙ্কার নাকের অস্ত্রোপচার নিয়ে মুখ খুললেন প্রযোজক

ভিডিও
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ১১
এনটিভি'র নিমন্ত্রণে : পর্ব ১১
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
ফাউল জামাই : পর্ব ১০৯
নাটক : শেষ গান
নাটক : শেষ গান
আজ সকালের গানে (লাইভ) : পর্ব ০৭
আজ সকালের গানে (লাইভ) : পর্ব ০৭
রাতের আড্ডা : পর্ব ১১
সংলাপ প্রতিদিন : পর্ব ২৮২
জোনাকির আলো : পর্ব ১৩৪
জোনাকির আলো : পর্ব ১৩৪
প্লিজ আমাকে ক্ষমা করে দাও : পর্ব ৭
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৩৯৮
আপনার জিজ্ঞাসা : পর্ব ৩৩৯৮
কাজিনস : পর্ব ০৩
কাজিনস : পর্ব ০৩

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Alhaj Mohammad Mosaddak Ali

Chairman

NTV Online, BSEC Building (Level-8), 102 Kazi Nazrul Islam Avenue, Karwan Bazar, Dhaka-1215 Telephone: +880255012281 up to 5, Fax: +880255012286 up to 7

Browse by Category

  • About NTV
  • Career
  • NTV Programmes
  • Advertisement
  • Web Mail
  • NTV FTP
  • Satellite Downlink
  • Europe Subscription
  • USA Subscription
  • Privacy Policy
  • Terms & Conditions
  • Contact
  • Archive

NTV Prime Android App

Find out more about our NTV: Latest Bangla News, Infotainment, Online & Live TV

Qries

Reproduction of any content, news or article published on this website is strictly prohibited. All rights reserved

x