এনটিভি দেশের এক নম্বর টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবেই থাকবে
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আজ ৩ জুলাই। আজ থেকে প্রায় ২২ বছর আগে, মহান রাব্বুল আলামিনের দয়ায়, আপনাদের সকলের ভালোবাসায় আপনাদের প্রিয় টেলিভিশন চ্যানেল এনটিভির জন্ম হয়েছিল।
আজকের এই শুভ জন্মদিনে আমি বিজ্ঞাপন দাতা, ক্যাবল অপারেটর, সরকারের প্রশাসন, সকল স্তরের কর্মকর্তা, শিল্পী-সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবী সকলকে এনটিভি পরিবারের পক্ষ থেকে অভিনন্দন জানাচ্ছি, শুভেচ্ছা জানাচ্ছি, শুভ জন্মদিন।
আপনারা জানেন, এই টেলিভশন চ্যানেলের শুরু থেকেই আমরা আপনাদের পরামর্শ নিয়ে কাজ করে থাকি। দীর্ঘ ২২ বছর পার হয়ে আজকে আমরা ২৩ বছরে পদার্পণ করেছি।
গত বছর দেশের ইতিহাসে যে জঘন্যতম হত্যাযজ্ঞ হয়েছে, যা আগস্ট হত্যাকাণ্ড হিসেবে আমরা সবাই জানি, সেই আন্দোলনসহ স্বাধীনতা যুদ্ধ এবং বিভিন্ন গণতন্ত্রের আন্দোলনে যারা জীবন দিয়েছেন, আমরা এনটিভি পরিবারের পক্ষ থেকে সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। দোয়া করছি যারা আত্মাহুতি দিয়েছেন, মহান রাব্বুল আলামিন তাদেরকে জান্নাত নসিব করুন এবং যারা অসুস্থ আছেন অতি তাড়াতাড়ি আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাদেরকে সুস্থ করে পরিবারের কাছে ফিরিয়ে নিয়ে আসুক।
এই আন্দোলনের যে থিম ছিল, যে ইচ্ছা ছিল জনগণের, দেশের উন্নয়নে কাজ করার জন্য, আমরা এনটিভি এর পাশে থাকতে পেরেছি বলে গর্ববোধ করছি।
আপনারা জানেন, জুলাইয়ে যে আন্দোলন হয়েছিল সেই আন্দোলনে আবু সাঈদ, রংপুরের কৃতি সন্তান, নিজের জীবন দিয়ে দেশকে যেভাবে দ্বিতীয়বার স্বাধীন করে দিয়ে গেছে, আমরা এই আন্দোলনের সাথে ছিলাম। আমরাই একমাত্র টেলিভশন চ্যানেল লাইভে সেটাকে ধারণ করেছিলাম।
আমরা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি, ছাত্র-জনতাকে, যারা এটাকে মূল্যায়ন করেছে। বিভিন্ন সময় তারা বলেছেন, ওইদিনের আবু সাঈদের ঘটনা কীভাবে সারা বাংলাদেশকে জাগ্রত করেছিল। সবসময় এনটিভি এভাবে জনগণের পাশে থাকার চেষ্টা করেছে।
আপনারা দেখবেন, শীতে-বন্যায়, বিভিন্ন দুর্যোগের সময়ও এনটিভি জনগণের পাশে সবসময় উপস্থিত ছিল এবং ইনশাআল্লাহ আগামী দিনেও থাকবে।
আমাদের একটা মজার ব্যাপার হচ্ছে, আমরা অনেক ফিডব্যাক পেয়ে থাকি আপনাদের কাছ থেকে, এটাই আমাদের আসল চালিকাশক্তি। কারণ আপনারা দেখেছেন, গত স্বৈরাচারী সরকারের সময় যেভাবে সকলের ওপরে দমন-নিপীড়ন চালানো হয়েছে, দমন নীতি চালানো হয়েছে, এনটিভিও এর বাইরে ছিল না।
বিভিন্নভাবে আগুন দিয়ে কয়েকবার এনটিভিকে দমন করার চেষ্টা করেছে, কয়েকবার সম্প্রচার বন্ধ রেখেছে। কিন্তু জনগণের সকলের ভালোবাসায় আমাদের এই কর্মী বাহিনী দমে যায়নি।
বিপদের সময় এই বাঁধাকে শক্তিতে পরিণত করে আপনাদের ভালোবাসা নিয়ে এনটিভিকে আপনাদের কাছে পৌঁছে দিয়েছে।
এনটিভির নিউজ, প্রোগ্রাম সবসময় খেয়াল রাখে কীভাবে আমাদের দেশের কথা, দেশের জনগণের কথা দেশের স্বার্থে সবার আগে আপনাদের কাছে তুলে ধরতে পারে।
সে জন্যই আমরা সবাই সবসময় বলি, এবারও বলছি, আপনারা যেভাবে অতীতে আমাদেরকে ভালোবাসা দিয়েছেন, সহযোগিতা করেছেন, পরামর্শ দিয়েছেন— এই ধারা অব্যাহত থাকলেই আপনাদের এই প্রিয় টেলিভশন চ্যানেল অতীতের মতো আগামী দিনেও সবসময় আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের এক নম্বর টেলিভিশন চ্যানেল হিসেবেই থাকবে।
আপনারা আমাদের অনলাইন পোর্টাল সম্পর্কে জেনে থাকবেন। আমাদের অনলাইনও বাংলাদেশের সীমানা পেরিয়ে পৃথিবীর সকল জায়গায়, বাংলাদেশি যেখানে আছে, সেখানে পৌঁছে গেছে। আমাদের ফেসবুক, ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়াতে যেখানেই যখন দেখবেন, আপনি যখনই অন করবেন, এনটিভি অনলাইন আপনার পাশে আছে।
আগামী দিনগুলোতে আমরা চেষ্টা করছি নতুন করে নিউজ ও প্রোগ্রামকে কীভাবে আরও সুন্দরভাবে সাজানো যায়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে আমরা এইচডি চালু করেছি। কিছুদিন আগে আপনার দেখেছেন, এনটিভির ছবি ও শব্দ আগের থেকে অনেক নিখুঁত হয়েছে। আগামী দিনে আরও ভালো হবে। আমরা চেষ্টা করছি আগামী দিনগুলোতে আরও সুন্দর সুন্দর প্রোগ্রাম ও বস্তুনিষ্ঠ নিউজ নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হওয়ার জন্য।
আপনাদের সহযোগিতা আমরা চাইব। আশা করি আমরা পেয়েছি এবং ভবিষ্যতেও পাবে। আমরা আশা করি, এই টেলিভিশন চ্যানেল যেভাবে এই দেশের জন্য, জনগণের জন্য ২২ বছর কাজ করেছে, আগামী দিনেও যেন আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আমরা দেশের জন্য কাজ করতে পারি।
সবার দোয়া চাইব, ভালোবাসা চাইব। আমাদের পাশে থাকবেন, দোয়া করবেন, পরামর্শ দেবেন। আসসালামু আলাইকুম।