শবে বরাতের প্রস্তুতি নিয়ে ইসলাম কী বলে?
নামাজ, রোজা, জাকাত, হজ, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’। শরিফ বায়েজিদ মাহমুদের উপস্থাপনায় এনটিভির জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম ড. মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ।
আপনার জিজ্ঞাসার ২৯৯২তম পর্বে ই-মেইলের মাধ্যমে রাজবাড়ি থেকে আলিফ রহমান জানতে চেয়েছেন, শবে বরাতের প্রস্তুতি নিয়ে ইসলাম কী বলে? অনুলিখন করেছেন মোহাম্মদ সাইফ আহমেদ।
প্রশ্ন : শবে বরাতের প্রস্তুতি নিয়ে ইসলাম কী বলে?
উত্তর : আসলে শবে বরাত বলতে যেটাকে বুঝানো হয় সেটা হলো—সাবান মাসের মধ্যে রজনী বা সাবান মাসের ১৪ তারিখের দিবাগত মধ্যরাতকে। মূল কথা হলো, শবে বরাত বলতে কোরআন ও হাদিসের কোথাও আসেনি। যেহেতু এটি একটি ফারসি শব্দ সেহেতু এবারে কোরআনে আসাও সম্ভব নয়। এটিকে মূলত বলা হয়, লাইলাতুল সাবান। সাবান মাসের মধ্যরজনী। আর শবে বরাতের অর্থ হলো ভাগ্য বন্টনের রজনী। একদল আলেম এই নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে থাকেন। তারা কোরআনের একটি আয়াতকে কেন্দ্র করে তারা শবে বরাত নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি করে থাকেন। এই কথাটি ভিত্তিহীন। এরপর বলব, যদি লাইলাতুল সাবানের রাতের কথাকে কেউ ফজিলতের রাত হিসেবে মেনেই নেন, এই রাতের সুনির্দিষ্ট আমল করেন, কিংবা এই রাতে সুনির্দিষ্ট নামাজ পড়েন, কিংবা সিয়াম রাখেন এসব কিছুই হাদিস দ্বারা প্রমাণিত হয়নি। শবে বরাত কেন্দ্রিক কোনো সিয়াম নেই। আর লাইলাতুল সাবান নিয়ে বললে বলব, প্রতিটি রাতের মতোই এটি একটি রাত্রী। প্রতিটি রাতেই আমাদের আল্লাহ আসমানে নেমে আসেন। এসে বলেন—তোমাদের মধ্যে কেউ কি ক্ষমাপ্রার্থনাকারী কেউ আছে? আমি তাকে ক্ষমা করবো। কিংবা কেউকি হেদাহেদ হতে চায়? আমি তাকে হেদায়েত করব। সুতরাং বলব যে, কেউ যদি প্রতিনিয়ত রাতের নামাজ পড়েন তিনি প্রতিদিনের ন্যায় ব্যক্তিগত ইবাদত করতে পারেন। নফল ইবাদত করতে পারেন নিজের মতো। তাতে কোনো বাধা নেই।