ঈদের দিনের সুন্নতগুলো

ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করে থাকেন মুসলমানরা। মহান রবের বিধান পালনের মাধ্যমে একে অপরের সঙ্গে গড়ে ওঠে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন।
হিজরি বর্ষপঞ্জি অনুসারে জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহা উদ্যাপিত হয়। সেই হিসেবে আগামীকাল শনিবার (৭ জুন) বাংলাদেশের মুসলমানরা পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্যাপন করবেন।
হজরত ইব্রাহিম (আঃ)-এর সুন্নত অনুসরণ করে বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায় এই দিনে কোরবানি দিয়ে থাকেন। কোরবানির দিন মুসলমানদের প্রথম ও প্রধান আমল হলো ঈদের নামাজ আদায় করা। এরপর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিধান কোরবানি করা। নবীজি (সা.) বলেছেন, ‘আজকের দিনে আমরা সর্বপ্রথম ঈদের নামাজ আদায় করব। এরপর ফিরে এসে কোরবানি করব। (বুখারি: ৯৬৮)
ঈদুল আজহার দিনে কিছু সুন্নত আমল তুলে ধরা হলো-
১. অন্যদিনের তুলনায় সকালে ঘুম থেকে জেগে ওঠা। (বায়হাকি -৬১২৬)
২. মিসওয়াক করা। (তাবয়ীনুল হাকায়েক ১/৫৩৮)
৩. গোসল করা। (ইবনে মাজাহ ১৩১৫)
৪. শরিয়তসম্মত সাজসজ্জা করা। (বুখারি ৯৪৮)
৫. সামর্থ্য অনুসারে উত্তম পোশাক পরিধান করা। (বুখারি ৯৪৮, মুস্তাদরাকে হাকেম ৭৫৬০)
৬. সুগন্ধি ব্যবহার করা। (মুস্তাদরাকে হাকেম ৭৫৬০)
৭. ঈদুল আজহায় ঈদগাহতে যাওয়ার আগে কিছু না খেয়ে ঈদের নামাজের পর নিজের কোরবানি করা পশুর গোশত খাওয়া। (বুখারি ৯৫৩, তিরমিজি ৫৪২, সুনানে দারেমি ১৬০৩)
৮. সকাল সকাল ঈদগাহে যাওয়া। (আবু দাউদ ১১৫৭)
৯. ঈদের নামাজ ঈদগাহে আদায় করা, বিনা অপরাগতায় মসজিদে আদায় না করা। (বুখারি ৯৫৬, আবু দাউদ ১১৫৮)
১০. যে রাস্তায় ঈদগাহতে যাবে, সম্ভব হলে ফেরার সময় অন্য রাস্তা দিয়ে ফেরা। (বুখারি ৯৮৬)
১১. হেঁটে যাওয়া। (আবু দাউদ ১১৪৩)
১২. ঈদগাহে যাবার সময় উচ্চস্বরে এই তাকবির পড়তে থাকা-
اللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ لَا إلَهَ إلَّا اللَّهُ وَاَللَّهُ أَكْبَرُ اللَّهُ أَكْبَرُ وَلِلَّهِ الْحَمْدُ
উচ্চারণ : আল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর লা-ইলাহা ইল্লাললাহু ওয়াল্লাহু আকবর আল্লাহু আকবর ওয়ালিল্লাহিল হামদ।
অর্থ: আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই; আল্লাহ মহান, আল্লাহ মহান; সব প্রশংসা মহান আল্লাহ জন্য। (মুস্তাদরাকে হাকেম ১১০৫)