এমারেল্ড অয়েলের দরপতন শেয়ার প্রতি ১০ টাকা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2024/04/06/emerald-oil.jpg)
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এমারেল্ড অয়েলের গত সপ্তাহে (রোববার থেকে বৃহস্পতিবার) শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১০ টাকা। এতে সপ্তাহটিতে কোম্পানিটির শেয়ার লুজারের শীর্ষে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ডিএসইতে গত বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) এমারেল্ড অয়েলের শেয়ারের সমাপনী দর দাঁড়ায় ৫৩ টাকা। যা আগের সপ্তাহে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) কোম্পানিটির শেয়ারের সমাপনী দর ছিল ৬৩ টাকা। এক সপ্তাহের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি দর কমেছে ১০ টাকা বা ১৫ দশমিক ৮৭ শতাংশ।
তথ্য সূত্রে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের (২০২৩-২০২৪) দ্বিতীয় প্রান্তিক (অক্টোবর-ডিসেম্বর) আর্থিক প্রতিবেদনে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা (ইপিএস) হয়েছে ২০ পয়সা। আগের অর্থবছরের (২০২২-২০২৩) একই সময়ে (অক্টোবর-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ১৯ পয়সা। চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাস বা দুই প্রান্তিকে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছে এক টাকা ৬৭ পয়সা। আগের অর্থবছরের একই সময়ে (জুলাই-ডিসেম্বর) শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ৪১ পয়সা। আলোচিত দুই প্রান্তিকে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ (এনওসিএফপিএস) হয়েছে নেগেটিভ ১৪ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল নেগেটিভ ৭৮ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য (এনএভিপিএস) দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ আট টাকা ৭০ পয়সা।
গত ২০২২-২০২৩ সমাপ্ত অর্থবছরে আর্থিক প্রতিবেদন (জুলাই-জুন) যাচাই বাছাই করে কোম্পানিটি বিনিয়োগকারীদের জন্য ১০ শতাংশ নগদ ডিভিডেন্ড দিয়েছিল। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি মুনাফা হয়েছিল ৭৩ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি মুনাফা ছিল ১৭ পয়সা। আলোচিত সমাপ্ত অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ হয়েছিল নেগেটিভ তিন পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি নগদ প্রবাহ ছিল নেগেটিভ দুই টাকা ৪০ পয়সা। গত ৩১ ডিসেম্বর শেষে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য দাঁড়িয়েছে নেগেটিভ ১০ টাকা ৩৭ পয়সা। আগের অর্থবছরে শেয়ার প্রতি সম্পদমূল্য ছিল নেগেটিভ ১২ টাকা ৮৫ পয়সা।
২০১৪ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় এমারেল্ড অয়েল। কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ১০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ৯১ কোটি ২৭ লাখ ২০ হাজার টাকা। শেয়ার সংখ্যা ৯ কোটি ১২ লাখ ৭২ হাজার চারটি। রিজার্ভ নেগেটিভ ১৮৫ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির উদ্যোক্তা পরিচালকরা ৫৯ দশমিক ৬১ শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে। এ ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক পরিচালকরা ছয় দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ৩৪ দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ শেয়ার ধারণ করেছে।