টেস্ট দল থেকে বাদ পড়ে হতাশ রাহি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আসন্ন হোম সিরিজের টেস্ট দলে জায়গা হয়নি পেসার আবু জায়েদ রাহির। ফর্মের কারণে বাদ দেওয়া হয় এই অভিজ্ঞ পেসারকে।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশ টেস্ট স্কোয়াডে নিয়মিত সদস্য রাহি। সুইং ও দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আসছেন তিনি। অবশ্য সাম্প্রতিক সাময়ে খুব একটা সাফল্য পাচ্ছেন না। তাই ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের দলে জায়গা হয়নি তাঁর। তাঁর বদলে দলে নেওয়া হয় তরুণ পেসার রেজাউর রহমান রাজাকে।
গত নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে দলে থাকলেও একাদশে সুযোগ পাননি রাহি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম টেস্টে অভিজ্ঞ রাহির পরিবর্তে খালেদ আহমেদকে নেওয়া হয়। এমনকি দ্বিতীয় টেস্টের আগে তাসকিন আহমেদের চোটেও তাঁর সুযোগ হয়নি একাদশে।
ক্রিকেট বিষয়ক সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজকে হতাশা প্রকাশ করে রাহি বলেন, ‘মিরপুরে গত দুই টেস্টে আমি এই পেস দিয়ে ১০ উইকেট নিয়েছি। আমার বোলিংয়ে কোনো ঘাটতি আছে, এটা আমি মনে করি না। এই পেসে আমি ১৩ ম্যাচে ৩০ উইকেট নিয়েছি।’
জাতীয় দলের বাইরে থাকা এই পেসার আরও বলেন, ‘আজকাল শুধু পেসে কাজ হয় না, সুইংও দরকার। গ্যারি কার্স্টেন ক্রিকেট একাডেমিতে (কেপটাউনে) আমাদের কর্মসালায়, একজন পেস বোলিং কোচ আমাদের বলেছিলেন, আমার দ্রুত বল করার দরকার নেই। ১৩০ কিলোমিটার গতিতে বল এবং সুইং করুন, এতেই হবে।’
এ ব্যাপারে জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটির সদস্য হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘আমরা নতুন প্রতিভার দিকে নজর দিচ্ছি। আমি মনে করি ভবিষ্যতে ভালো করার জন্য আমাদের তরুণ পেসারদের দরকার। বিশেষ করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। আমরা দীর্ঘ দিন ধরে টেস্ট ম্যাচ খেলছি, আমাদের হাতে আগে এমন ধরনের পেস বোলার ছিল না, যারা সত্যিই দ্রুত বল করতে পারে। তাই আমরা তাদের (ধীরগতির পেসারদের) খেলিয়েছি, কারণ আমাদের হাতে বিকল্প ছিল না। আমাদের এমন বোলার দরকার যারা ১৩৫ থেকে ১৪০ কিলোমিটার গতিতে বল করতে পারে।’
জাতীয় দলের এই নির্বাচক আরও বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে দুবার আউট করেছি, তাইজুল ছয় উইকেট নেওয়া পারও আমাদের পেস বোলাররা দক্ষিণ আফ্রিকায় আধিপত্য বিস্তার করেছিল। ওডিআই সিরিজে, আমাদের তিনজন পেসার প্রতি ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে বল করেছিল। এটা দেখে আমাদের ভালো লাগছিল। পেস বোলাররা আক্ষরিক অর্থেই দক্ষিণ আফ্রিকায় তাদের প্রতিপক্ষকে আতঙ্কে রেখেছিল, আমরা সেটাই খুঁজছি।’
তরুণ পেসারদের দলে নেওয়া প্রসঙ্গে হাবিবুল বাশার বলেন, ‘আমরা সব সময় জানতাম যে, আমাদের পেসার থাকা দরকার, কিন্তু আমাদের সে মানের পেসার ছিল না। আমার মনে হয় না ১২৫ বা ১৩০ কিলোমিটার গতিতে বল করে ভালো কিছু করা সম্ভব হবে। তাই আমরা রাজাকে বেছে নিয়েছি, কারণ সে বেশ দ্রুত বল করে।’