৫২১ রানে ইনিংস ঘোষণা করল নিউজিল্যান্ড

ডাবল সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়ে টেস্টের প্রথম দিন শেষ করেছিলেন টম ল্যাথাম। আজ সোমবার দিনের শুরুতেই পূরণ করলেন দ্বিশতক। তাঁর সঙ্গে থাকা ডেভন কনওয়েও পেলেন সেঞ্চুরির দেখা। দুই তারকার ব্যাটিং দৃঢ়তায় প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের সামনে বিশাল স্কোর দাঁড় করাল নিউজিল্যান্ড।
হ্যাগলি ওভালে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৫২১ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। ডাবল সেঞ্চুরি করা ল্যাথাম খেলেছেন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৫২ রানের ইনিংস। আরেক সেঞ্চুরিয়ান কনওয়ে খেলেছেন ১০৯ রানের ইনিংস।
ক্রাইস্টচার্চ টেস্টের দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই বাউন্ডারিতে তিন অঙ্কে পৌঁছে যান কনওয়ে। প্যাডে ইবাদতের হাফ-ভলি মোকাবিলা করে সহজেই ক্যারিয়ারের তৃতীয় ও সিরিজে দ্বিতীয় সেঞ্চুরি হাঁকান তিনি। সে ওভারেই মারেন আরেকটি বাউন্ডারি। এরপর অবশ্য বেশিদূর যেতে পারেননি। ১০৯ রানের মাথায় মেহেদী হাসান মিরাজের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে ফেরেন তিনি। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল ১৬৬ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ১২টি বাউন্ডারি ও একটি ছক্কা।
কনওয়ে ফিরলেও টিকে ছিলেন ল্যাথাম। উইকেটে থিতু হয়ে ছুটতে থাকা ল্যাথাম দিনের শুরুতে পেয়ে যান ডাবল সেঞ্চুরি। ১৮৬ রান নিয়ে দিন শুরু করা কিউই অধিনায়ক তাসকিন আহমেদকে এক কাভার ড্রাইভে চার মেরে ডাবল স্পর্শ করেন। ডাবল সেঞ্চুরির ঘরে যেতে তাঁর লেগেছে ৩০৫ বল।
তাঁকে কিছুক্ষণ সঙ্গ দেন ক্যারিয়ারের শেষ টেস্ট খেলতে নামা রস টেইলর। দর্শকদের তুমুল করতালি ও সতীর্থদের গার্ড অব অনার নিয়ে উইকেটে যাওয়া টেইলর ২৮ রান করেই আউট হন। এরপরও টিকে ছিলেন ল্যাথাম।
শেষ পর্যন্ত ২৫২ রানের ইনিংস খেলে থামে ল্যাথাম। এই রান তুলতে তিনি খেলেছেন ৩৭৩ বল। উইকেটে ছিলেন ৫৫২ মিনিট। মেরেছেন ৩৪টি বাউন্ডারি ও দুটি ছক্কা। তিনি ফেরার পর টম ব্লান্ডেল হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলে ইনিংস ঘোষণ করে দেয় নিউজিল্যান্ড।
এর আগে ১ উইকেটে ৩৪৯ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছিল নিউজিল্যান্ড। আজ সেই সেটা নিয়ে গেল ৫২১ রানে। দ্বিতীয় সেশনের ড্রিংকস বিরতির সময়ই ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। উইকেটে থাকা ব্লান্ডেল ৫৭ রান করেন মাত্র ৬০ বলে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
নিউ জিল্যান্ড ১ম ইনিংস: (আগের দিন শেষে ৩৪৯/১) ১২৮.৫ ওভারে ৫২১/৬ ডিক্লে. (ল্যাথাম ২৫২, কনওয়ে ১০৯, টেইলর ২৮, নিকোলস ০, মিচেল ৩, ব্লান্ডেল ৫৭*, জেমিসন ৪*; তাসকিন ৩২.৫-৫-১১৭-০, শরিফুল ২৮-৯-৭৯-২, ইবাদত ৩০-৩-১৪৩-২, মিরাজ ৩১-২-১২৫-০, শান্ত ৪-০-১৫-০, মুমিনুল ৩-০-৩৪-১)