ফিফা-কাণ্ডে ম্যারাডোনা আহ্লাদে আটখানা!

ডিয়েগো ম্যারাডোনা এখন দারুণ খুশি। তিনি আজীবন ফিফা সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারের বিরুদ্ধে, ব্ল্যাটারের নানা অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে সোচ্চার। তাই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ফিফার সাত শীর্ষ কর্মকর্তার গ্রেপ্তার হওয়ার খবরে আর্জেন্টিনার ফুটবল-কিংবদন্তি একেবারে আহ্লাদে আটখানা! কোনো রকম রাখ-ঢাক না করে ম্যারাডোনা জানিয়ে দিয়েছেন, ফিফার ‘থলের বেড়াল’ বেরিয়ে পড়ায় তিনি বেজায় খুশি।
ব্ল্যাটারের সঙ্গে ম্যারাডোনার সম্পর্কের অবনতি ১৯৮৬ বিশ্বকাপ থেকে। মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে ফাইনালসহ বেশ কিছু ম্যাচ শুরু দুপুরের তপ্ত রোদ আর তীব্র গরমে। ম্যারাডোনা ফিফার এই সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। তখন ব্ল্যাটার ছিলেন ফিফার মহাসচিব।
শুক্রবার ফিফার সভাপতি নির্বাচনে যথারীতি ব্ল্যাটার একজন প্রার্থী। বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থায় ব্ল্যাটার-যুগ অবসানে বদ্ধপরিকর ম্যারাডোনা। কয়েক দিন আগে টেলিগ্রাফে তিনি লিখেছেন, ‘ব্ল্যাটার আজীবনের একনায়ক আর এই সংগঠন (ফিফা) হলো দুর্নীতির আখড়া।’
ফিফা কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ফাঁস হয়ে পড়ায় আর্জেন্টাইন ফুটবল-ঈশ্বর তাই যারপরনাই আনন্দিত। তবে একটা আশঙ্কাও চেপে ধরেছে ম্যারাডোনাকে। বুয়েনস আইরেসের একটি রেডিও স্টেশন লা রেডের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি বলেছেন, ‘সাবধান! ব্ল্যাটার কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে আত্মপক্ষ সমর্থন করতে পারে। ওরা (যুক্তরাষ্ট্র) তাকে ১০ বছর ধরে খুঁজে বেড়াচ্ছে।’
ফিফার দুর্নীতি নিয়ে যে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে সোচ্চার, সে কথাও আরেকবার জানালেন আর্জেন্টিনার ১৯৮৬ বিশ্বকাপ জয়ের নায়ক, ‘আমি অনেক দিন ধরে এ নিয়ে কথা বলছি। সবাই বলে আমি নাকি পাগল! অথচ আজ কিন্তু এফবিআই সত্যি কথা বলছে। দেখা যাক এত কাণ্ডের পর ব্ল্যাটার নির্বাচনে জিততে পারে কি না। আমেরিকানরা একটা নিখুঁত কাজ করেছে।’