ব্ল্যাটারের সামনে আরেক ‘বিপদ’

ফিফার নির্বাহী কমিটির কয়েকজন সদস্যকে এরই মধ্যে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সুইজারল্যান্ডের বিচার বিভাগ। প্রয়োজনে ফিফার সভাপতি সেপ ব্ল্যাটারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে।
সুইজারল্যান্ডের বিচার বিভাগের মুখপাত্র আন্দ্রে মার্টি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘ফিফার নির্বাহী কমিটির যে সদস্যরা সুইজারল্যান্ডের অধিবাসী নন এবং ২০১০ সালে (২০১৮ ও ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আয়োজক নির্বাচনের জন্য) ভোট দিয়েছিলেন, তাঁদের অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়ের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ফিফার সভাপতিকে এখনই হয়তো জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না। কিন্তু প্রয়োজন হলে ভবিষ্যতে করা হবে।’
এরই মধ্যে সুইস বিচার বিভাগ আফ্রিকান ফুটবল কনফেডারেশনের সভাপতি ইসা হায়াতু (ক্যামেরুন), অ্যাঞ্জেল মিগেল ভিয়ার লনা (স্পেন), হানি আবো রিদা (মিসর), মিশেল ডি’হোগ (বেলজিয়াম), সেনেস এরজিক (তুরস্ক), মেরিয়োস লেফকারিতিস (সাইপ্রাস) ও ভিতালি মুতকোকে (রাশিয়া) জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। এই সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ২০১৮ ও ২০২২ বিশ্বকাপের আয়োজক নির্বাচনের সময় কোনো দুর্নীতি-অনিয়ম হয়েছিল কি না, তেমন তথ্য মিলতে পারে বলে আশা করছে সুইস পুলিশ।
ফিফার অনুরোধেই তদন্ত শুরু হয়েছিল দুই মাস আগে। কিন্তু তার ব্যাপ্তি সম্প্রতি পুরো ফুটবল-বিশ্বকে কাঁপিয়ে দিয়েছে। ফিফা সভাপতি নির্বাচনের ঠিক আগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে দুজন সহসভাপতিসহ সাতজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে। পুলিশ অভিযান চালিয়েছে ফিফার সদর দপ্তরে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের ভিত্তিতে চালানো এই অভিযানের তীব্র সমালোচনা করেছেন ফিফার সাবেক সহসভাপতি জ্যাক ওয়ার্নার। তিনি বলেছেন, ‘সবকিছু দেখে মনে হচ্ছে, ২০২২ বিশ্বকাপ আয়োজনের সুযোগ না পেয়েই তারা (যুক্তরাষ্ট্র) এমন করছে। তারা ছোট্ট একটা মুসলিম দেশ কাতারের কাছে হেরে গেছে। বিশ্বকাপ আয়োজনের জন্য কোনো দেশেরই ঐশ্বরিক অধিকার নেই।’ ব্যঙ্গাত্মক পত্রিকা দ্য ওনিয়নের একটি প্রতিবেদন হাতে নিয়ে একটি ফেসবুক ভিডিওর মাধ্যমে এ অভিযোগ তুলেছেন ওয়ার্নার।
গত বুধবার ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগোর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছিলেন ওয়ার্নার। চার লাখ ডলার জামানত দিয়ে জামিন পেয়েছেন তিনি।