অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের হল অব ফেমে হেইডেন-বুন
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2017/01/22/photo-1485066203.jpg)
অস্ট্রেলীয় ক্রিকেটের হল অব ফেমে জায়গা পেয়েছেন ডেভিড বুন, ম্যাথু হেইডেন ও প্রয়াত নারী ক্রিকেটার বেটি উইলসন। রোববার এ তথ্য জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। দেশটির ক্রিকেটে অসামান্য অবদান রাখায় তিন কিংবদন্তি ক্রিকেটারকে এ সম্মাননা দেওয়া হচ্ছে।
হল অব ফেমে জায়গা পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অস্ট্রেলিয়াকে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জেতানো তারকা ব্যাটসম্যান ডেভিড বুন। তিনি বলেন, ‘এটা সত্যিই বিস্ময়কর। তারকা সব ক্রিকেটারের সঙ্গে একই জায়গায় নিজেকে দেখতে পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার। আমি খুব খুশি।’
অসাধারণ এই অর্জনের খবরটা অবশ্য শুনে যেতে পারলেন না বেটি উইলসন। ২০১০ সালে মৃত্যুবরণ করেন এই নারী ক্রিকেটার। বেটির বোন কেট উইলসন বলেন, ‘আমরা খুশি, আবার একই সঙ্গে এটি কষ্টেরও বটে। বেটি বেঁচে থাকলে দারুণ খুশি হতো।‘
১৯৮৭ সালে ভারত-পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ও ফাইনালে অসাধারণ ব্যাটিং করে অস্ট্রেলিয়াকে শিরোপা জেতান ডেভিড বুন। প্রথম সেমিফাইনালে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৫ রান করেন তিনি। পাকিস্তানকে ১৫ রানে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে অস্ট্রেলিয়া। ফাইনালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১২৫ বলে ৭৫ রান করেন বুন। অসাধারণ এ ইনিংসের জন্য ম্যাচসেরা হন তিনি। ১০৭ টেস্টে ২১ সেঞ্চুরিসহ ৪৩.৬৫ গড়ে ৭,৪২২ রান করেন তিনি। ক্যারিয়ারে ১৮১ ওয়ানডেতে ৩৭ গড়ে ৫৯৬৪ রান করেন এই অসি কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান।
ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা ওপেনার হিসেবে ম্যাথু হেইডেনের নাম নিশ্চিতভাবেই থাকবে প্রথম সারিতে। ১০৩ টেস্টে ৩০ শতকসহ ৮,৬২৫ রান করেছেন হেইডেন। এ ছাড়া ১৬১ ওয়ানডেতে ৬,১৩৩ রান করেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান।
বেটি উইলসনের টেস্ট ক্যারিয়ার খুব বড় নয়। মাত্র ১১ টেস্টে ৫৭.৪৬ গড়ে ৮৬২ রান করেন তিনি। মাত্র ১১.৮০ গড়ে ৬৮ উইকেটও নিয়েছেন এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। ১৯৮৫ সালে প্রথম নারী ক্রিকেটার হিসেবে অস্ট্রেলিয়ান স্পোর্টিং হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত হন বেটি। ২০১৫ সালে বেটি উইলসনকে আইসিসি ক্রিকেট হল অব ফেমে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।