নাদালকে হারিয়ে শেষ চারে জোকোভিচ

একদিকে ‘কিং অব ক্লে’ রাফায়েল নাদাল। কোর্টের অন্য প্রান্তে দারুণ ছন্দে থাকা বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় নোভাক জোকোভিচ। ম্যাচটা ঘিরে তাই তীব্র কৌতূহল ছিল টেনিস-দুনিয়ার। তবে টেনিসপ্রেমীদের জমজমাট লড়াই দেখার আশা পূরণ হয়নি। ফ্রেঞ্চ ওপেনের কোয়ার্টার ফাইনালে নাদালকে সরাসরি সেটে হারিয়ে দিয়েছেন জোকোভিচ। খেলার ফল : ৭-৫, ৬-৩, ৬-১।
সেমিফাইনালে জোকোভিচের প্রতিপক্ষ অ্যান্ডি মারে। শেষ আটের লড়াইয়ে মারে ৭-৬, ৬-২, ৫-৭, ৬-১ গেমে হারিয়েছেন স্পেনের দাভিদ ফেরারকে। মহিলা এককে সেমিফাইনালে উঠেছেন বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় সেরেনা উইলিয়ামসও। এই মার্কিন তারকা কোয়ার্টার ফাইনালে সহজেই ৬-১, ৬-৩ গেমে ইতালির সারা এরানিকে হারিয়েছেন। শেষ চারে সেরেনা খেলবেন সুইজারল্যান্ডের টিমিয়া বাকসিনস্কির বিপক্ষে। অন্য সেমিফাইনালে আনা ইভানোভিচের প্রতিপক্ষ লুসি সাফারোভা।
ক্লে কোর্টের একমাত্র গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্ট ফ্রেঞ্চ ওপেনে নাদালের বিস্ময়কর সাফল্য। গত ১০ বছরে নয়বার রোঁলা গাঁরোর শিরোপা উঠেছে এই স্প্যানিশ তারকার হাতে, যা একটি রেকর্ডও বটে। ফ্রেঞ্চ ওপেনে এর আগে মাত্র একটা ম্যাচই হেরেছিলেন নাদাল, ২০০৯ সালে চতুর্থ রাউন্ডে সুইডেনের রবিন সডারলিংয়ের কাছে।
অন্যদিকে, ফ্রেঞ্চ ওপেন জোকোভিচের কাছে হতাশার টুর্নামেন্ট। আটটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতে নিলেও এখনও রোলাঁ গাঁরোর শিরোপা তাঁর অধরা। ২০১২ ও ২০১৪ সালে অবশ্য ফাইনালে উঠেছিলেন। তবে দুবারই হেরে যান নাদালের কাছে। এবার জিতে সেই দুই হারের ‘প্রতিশোধ’ নিলেও খেলা শেষে ‘ক্লে কোর্টের রাজা’র প্রতি সমবেদনা ফুটে উঠল জোকোভিচের কণ্ঠে, ‘রাফার (নাদাল) প্রতি আমার অসীম শ্রদ্ধা। সে একজন সত্যিকারের চ্যাম্পিয়ন। ওর বিপক্ষে খেলা সব সময়ই ভীষণ আনন্দদায়ক। আমি জানতাম যে আমাকে আক্রমণাত্মক হতে হবে আর প্রতিটি পয়েন্টে মনোযোগ দিয়ে খেলতে হবে। এখানে ক্যারিয়ারে মাত্র একটা ম্যাচে হারা খেলোয়াড়ের বিপক্ষে কাজটা সহজ নয়। তাই আমার জন্য এটা অবিশ্বাস্য দিন। আমি দারুণ খুশি।’
বুধবার ছিল নাদালের ২৯তম জন্মদিন। জীবনের বিশেষ দিনটিতে প্রিয় কোর্টে এমন পরাজয়ে তিনি স্বাভাবিকভাবেই হতাশ। তবে হারটাকে নিচ্ছেন দার্শনিকসুলভ দৃষ্টিভঙ্গিতে, ‘সে (জোকোভিচ) পুরো ম্যাচ নিয়ন্ত্রণ করেছে। তাই আমার পরাজয়টা বড় কোনো বিস্ময় নয়। এখানে ২০০৯ সালে যেমন হেরেছিলাম, তেমনি আজ ২০১৫ সালেও হারলাম। আশা করি, আগামী বছর আরেকটা সুযোগ পাব।’