ইতিহাস গড়তে এক গোল চাই রুনির

জীবন্ত-কিংবদন্তি পেলের মতে ইংল্যান্ডের ওয়েম্বলি স্টেডিয়াম হলো ‘ফুটবলের ক্যাথেড্রাল’। ইংল্যান্ডের অনেক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামের নাম। লন্ডনে এখন অবশ্য পুরনো স্টেডিয়ামটা আর নেই। ২০০৭ সালে সেটা ভেঙে বানানো হয়েছে নতুন স্টেডিয়াম। ইতিহাস গড়তে ইংল্যান্ডের ফুটবলারদের কাছে ওয়েম্বলির চেয়ে বড় মঞ্চ আর কী হতে পারে! ইংল্যান্ডের অধিনায়ক ওয়েইন রুনিও ইতিহাস গড়ার জন্য চোখ রাখছেন এই স্টেডিয়ামের দিকে।
১৯৬৬ সালে ওয়েম্বলিতে একমাত্র বিশ্বকাপ শিরোপা জিতেছিল ইংল্যান্ড। তার দুই বছর পর স্যার ববি চার্লটন ইংল্যান্ডের পক্ষে সর্বকালের সর্বোচ্চ গোলদাতা হওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন এই মাঠেই। যে রেকর্ড টিকে আছে আজও। সেই ওয়েম্বলিতেই চার্লটনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ রুনির সামনে।
১৯৫৮ থেকে ১৯৭০ সাল পর্যন্ত ১০৬টি ম্যাচ খেলে ৪৯টি গোল করেছিলেন চার্লটন। গ্যারি লিনেকার ৪৮ গোল করে খুব কাছাকাছি গিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপজয়ীর, তবে পাশে দাঁড়াতে পারেননি। লিনেকার ব্যর্থ হলেও রুনি কিন্তু সফল। শনিবার সান মারিনোর বিপক্ষে ইউরো-২০১৬ বাছাইপর্বের লড়াইয়ে একটি গোল করে চার্লটনের রেকর্ডে ভাগ বসিয়েছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড তারকা। চার্লটনের মতো রুনিও ৪৯টি গোল করতে ১০৬টি ম্যাচ খেলেছেন। ২৯ বছর বয়সী রুনির সামনে তাই চার্লটনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার হাতছানি। ইতিহাস গড়তে হয়তো বেশিদিন অপেক্ষাও করতে হবে না ইংল্যান্ড অধিনায়ককে।
রুনির রেকর্ড স্পর্শ করা ম্যাচে ইংল্যান্ড পেয়েছে ৬-০ গোলের বিশাল জয়। ‘ই’ গ্রুপে টানা সপ্তম জয়ে ইউরো-২০১৬-এর টিকেটও হাতে পেয়ে গেছে ইংলিশরা। আগামী মঙ্গলবার ওয়েম্বলিতে বাছাইপর্বের পরবর্তী ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ সুইজারল্যান্ড। এই ম্যাচে চার্লটনকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশা করছেন রুনি, ‘আজই (শনিবার) রেকর্ডটা ভাঙতে পারলে দারুণ হতো। কিন্তু ওয়েম্বলির একটা ঐতিহ্য আছে। আর রেকর্ডটা সেখানে ভাঙতে পারলেও দারুণ ব্যাপার হবে।’
৫০তম গোল সান মারিনোর বিপক্ষেই হয়তো করে ফেলতেন রুনি। কিন্তু ৫৮ মিনিটের সময় কোচ রয় হজসন তুলে নেওয়ায় সেই সুযোগ তিনি পাননি।