প্রায় দুই মাস মাঠের বাইরে মেসি

গত সপ্তাহে সেল্তা ভিগোর কাছে ৪-১ গোলে হেরে বিশাল ধাক্কা খেয়েছিল বার্সেলোনা। শনিবার লাস পালমাসকে ২-১ গোলে হারিয়ে জয়ের ধারায় ফিরলেও বার্সা সমর্থকদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ। কারণ একটাই, দলের সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসির চোট। বাঁ হাঁটুর চোটের কারণে প্রায় দুই মাস মাঠের বাইরে থাকতে হতে পারে আর্জেন্টাইন তারকাকে।
ঘরের মাঠ ন্যু ক্যাম্পে পালমাসের বিপক্ষে মাত্র তৃতীয় মিনিটেই আঘাত পান মেসি। তবে ব্যথা নিয়েই খেলা চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার। কিন্তু নবম মিনিটে আর পারেননি, ব্যথা নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় তাঁকে। মাঠ থেকে সরাসরি মেসিকে নিয়ে যাওয়া হয় কাছের একটি হাসপাতালে। সেখান থেকে মাঠে ফিরে বার্সার জয়ের সাক্ষীও হয়েছেন। কিন্তু দুঃসংবাদটা এড়াতে পারেননি এ সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলার। এক বিবৃতিতে বার্সেলোনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ‘পরীক্ষায় দেখা গেছে, লিওনেল মেসির বাঁ হাঁটুর ভেতরের লিগামেন্ট ছিঁড়ে গেছে। তাঁকে প্রায় সাত থেকে আট সপ্তাহ মাঠের বাইরে থাকতে হবে।’
মৌসুমের শুরুতেই দলের সবচেয়ে বড় তারকার এমন গুরুতর চোটের কারণে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ বার্সার কোচ লুইস এনরিকে। তবে দার্শনিকসুলভ মনোভাব নিয়ে তাঁর ঘোষণা, ‘দলের যেকোনো খেলোয়াড় চোট-আক্রান্ত হলে ভীষণ খারাপ লাগে আমার। মেসির ক্ষেত্রে সেটা আরো বেশি হয়। কিন্তু আমাদের এই চ্যালেঞ্জ মেনে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। বুঝতে হবে যে এটা ফুটবলেরই অংশ। তবে মেসিকে ছাড়া আমরা খেলার ধরন পাল্টাব না।’
আগামী মঙ্গল ও শনিবার চ্যাম্পিয়নস লিগে বায়ার লেভারকুসেন ও লা লিগায় সেভিয়ার বিপক্ষে বার্সেলোনার দুটো গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে খেলতে পারবেন না মেসি। স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা এখন তাকিয়ে ২১ নভেম্বরের দিকে। সেদিন লা লিগার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে বার্সার প্রতিপক্ষ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ। ‘এল ক্লাসিকো’তে মেসি খেলতে পারেন কি না, সেটাই এখন দেখার।
মেসির চোট বিপদে ফেলে দিয়েছে আর্জেন্টিনাকেও। অক্টোবরে বিশ্বকাপ বাছাই পর্বে ইকুয়েডর ও প্যারাগুয়ের বিপক্ষে খেলতে পারবেন না আর্জেন্টিনার অধিনায়ক।