অবশেষে নাদালকে হারিয়ে ফেদেরার চ্যাম্পিয়ন

২০১২ সালে রাফায়েল নাদালকে হারিয়ে ইন্ডিয়ান ওয়েলস টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠেছিলেন রজার ফেদেরার। এরপর পাঁচটি মুখোমুখি লড়াইয়ের সবগুলোতেই হার মানতে হয়েছিল সুইস তারকাকে। তিন বছরেরও বেশি সময় পর অবশেষে নাদালকে হারালেন ফেদেরার। সুইস ইনডোরসের ফাইনালে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বীকে ৬-৩, ৫-৭, ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন তিনি।
নাদাল-ফেদেরারের দ্বৈরথ একসময় নিয়মিত দেখতে পেতেন টেনিসপ্রেমীরা। টেনিসের দুই মহাতারকার লড়াই তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়ে দিত টেনিস সার্কিটে। তবে ইদানীং এই লড়াই তেমন দেখা যায়নি। শনিবার রাতে ফেদেরারের শহর সুইজারল্যান্ডের বাসেলসে দুজনে মুখোমুখি হলেন ২১ মাস পর।
আগের পাঁচটি লড়াইয়ে জয় পেলেও এবার আর ফেদেরারকে হারাতে পারেননি নাদাল। প্রথম সেট ৬-৩ গেমে হেরে পিছিয়ে পড়লেও দ্বিতীয় সেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছিলেন এই স্প্যানিশ তারকা। জিতেছিলেন ৫-৭ গেমে। তবে ফলাফল নির্ধারণী তৃতীয় সেটে নাদালকে কোনো সুযোগ দেননি ফেদেরার। ৬-৩ গেমে জিতে শিরোপার আনন্দে মেতে উঠেছেন রেকর্ড ১৭টি গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী।
নিজের শহর বাসেলের এই ইনডোর প্রতিযোগিতায় ২০০৬ সাল থেকে টানা দশমবারের মতো ফাইনালে উঠলেন ফেদেরার। এর মধ্যে সাতবারই পেয়েছেন শিরোপার মধুর স্বাদ। সুইস ইনডোরসে সবচেয়ে বেশি ফাইনালে ওঠা ও শিরোপা জয়ের রেকর্ড তাঁরই দখলে। আরো একবার শিরোপা জিতে ফেদেরার উচ্ছ্বসিত, ‘আমি ভেবেছিলাম ম্যাচটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। দ্বিতীয় সেটে আমি জেতার সুযোগ পেয়েছিলাম। কিন্তু নাদাল দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে। যেমনটা সে এই সপ্তাহজুড়ে করেছে। সব মিলিয়ে যেভাবে খেলতে পেরেছি, তাতে আমি খুব খুশি। এটা আমার জন্য বিশেষ একটা দিন।’
এ মাসে হয়তো আবার মুখোমুখি হবেন নাদাল-ফেদেরার। আগামী সপ্তাহে দুজনেই খেলবেন প্যারিস মাস্টার্সে। আর নভেম্বরের শেষে লন্ডনে লড়বেন বছরের শেষ প্রতিযোগিতা এটিপি ওয়ার্ল্ড ট্যুর ফাইনালসে।