পোশাক পাল্টেই শারাপোভার রুদ্রমূর্তি!

প্রথম সেট জিতেছিলেন সহজেই। দ্বিতীয় সেটের প্রথম দুই গেম জিতেও সহজ জয়ের আশা করছিলেন মারিয়া শারাপোভা। তবে ওই সেটে উল্টো হেরে বসেন রুশ টেনিস-সুন্দরী। কিন্তু দ্বিতীয় সেট শেষে পোশাক পাল্টানোর পর রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন তিনি। শেষ সেটে তাই দাঁড়াতেই পারেননি লরেন ডেভিস। তৃতীয় সেটে মার্কিন প্রতিপক্ষকে উড়িয়ে দিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের চতুর্থ রাউন্ডে উঠেছেন শারাপোভা। ম্যাচের ফল ৬-১, ৬-৭ (৫/৭), ৬-০।
ক্যারিয়ারের ৬০০তম জয় পেতে যে এতটা ঘাম ঝরাতে হবে, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি শারাপোভা। প্রথম সেট মাত্র ২৬ মিনিটে শেষ করে দেওয়ার পর দ্বিতীয় সেটেও সহজ জয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু তারপরই ছন্দপতন! টানা পাঁচটি গেম জিতে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান ২২ বছর বয়সী ডেভিস। সেটটা টাইব্রেকারে জিতে সমতাও নিয়ে আসেন ম্যাচে।
দ্বিতীয় সেট শেষ হতেই কোর্টের বাইরে চলে যান শারাপোভা। তৃতীয় সেটে যখন ফিরলেন, তাঁর পরনে তখন অন্য পোশাক। নতুন পোশাকে টানা দুটো ‘এইস’ মেরে শুরু করা রুশ তারকার কাছে আর পাত্তাই পাননি র্যাংকিংয়ে ১০৩ নম্বরে থাকা ডেভিস। টানা ছয়টি গেম জিতে চতুর্থ রাউন্ডে ওঠার আনন্দে মেতে উঠেছেন টুর্নামেন্টের ২০০৮ সালের চ্যাম্পিয়ন শারাপোভা।
খেলাশেষে কোর্টের পাশেই দেওয়া টিভি সাক্ষাৎকারে ম্যাচের মাঝপথে পোশাক পাল্টানো সম্পর্কে শারাপোভার ব্যাখ্যা, ‘আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের সঙ্গে তেমন কথা বলি না। আমি মনে করি সেজন্য আমার জরিমানা হওয়া উচিত! পোশাক পাল্টানোর পর নিজেকে বেশ হালকা মনে হয়েছে। সে জন্য কোর্টের মধ্যে নড়াচড়া করতেও খুব সুবিধা হয়েছে।’
চতুর্থ রাউন্ডে সুইজারল্যান্ডের বেলিন্ডা বেনচিচকে হারাতে পারলে কোয়ার্টার ফাইনালে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ দিতে হতে পারে শারাপোভাকে। কারণ শেষ আটের লড়াইয়ে তাঁর প্রতিপক্ষ হওয়ার সম্ভাবনা সেরেনা উইলিয়ামসের। বিশ্বের এক নম্বর খেলোয়াড় সেরেনার বিপক্ষে র্যাংকিংয়ে পাঁচ নম্বরে থাকা শারাপোভার পারফরম্যান্স ভীষণ খারাপ। মুখোমুখি ২০টি লড়াইয়ের ১৮টিতেই হার মেনেছেন শারাপোভা। গতবার তাঁকে হারিয়েই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের শিরোপা জিতেছিলেন সেরেনা।