ব্র্যাডম্যানের পাশে রড লেভার

পুরস্কারটার নাম বেশ লম্বা—‘কম্প্যানিয়ন অব দি অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’। শুধু নামেই বড় নয়, এটা অস্ট্রেলিয়ার সর্বোচ্চ সম্মানও বটে। টেনিস-কিংবদন্তি রড লেভার এখন এই পুরস্কারে ভূষিত।
ডন ব্র্যাডম্যান ও হার্ব এলিয়টের পর অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় ক্রীড়াবিদ হিসেবে এই পুরস্কার পেলেন লেভার। ক্রিকেট-ইতিহাসের সেরা ব্যাটসম্যান ব্র্যাডম্যানের কথা অনেকেই জানে। তবে হার্ব এলিয়ট তেমন পরিচিত নন। গত শতাব্দীর পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে মাঝারি পাল্লার দৌড়ে অনেক পুরস্কার জিতেছিলেন এলিয়ট।
তবে লেভারের নাম টেনিস-ভক্তদের অজানা থাকার কথা নয়। তাঁর এমন কীর্তি আছে যা আর কোনো পুরুষ টেনিস খেলোয়াড়ের নেই। এক বছরে চারটি গ্র্যান্ড স্লাম টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার কৃতিত্ব শুধু তাঁরই আছে। তা-ও একবার নয়, দুই-দুইবার। ১৯৬২ সালে প্রথমবার চারটি গ্র্যান্ড স্লাম জিতেছিলেন। সাত বছর পর আবার লেভার-স্লাম। ১৯৬৮ সালে টেনিসের উন্মুক্ত যুগ শুরু হওয়ার পরের বছর দ্বিতীয়বারের মতো কীর্তিটা গড়েছিলেন তিনি।
অস্ট্রেলীয়দের কাছে লেভার শুধু জীবন্ত কিংবদন্তিই নন, দারুণ সম্মানজনক ব্যক্তিও। অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের মূল ভেন্যুর নামও রড লেভার অ্যারেনা। মঙ্গলবার নিজের নামাঙ্কিত অ্যারেনার সেন্টার কোর্টে সাদামাটাভাবে ‘কম্প্যানিয়ন অব দি অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া’ পুরস্কার পাওয়ার সুখবর উদযাপন করলেন ৭৭ বছর বয়সী লেভার। অস্ট্রেলিয়া ডে উপলক্ষে জাতীয় সঙ্গীতের পর গ্যালারির দর্শকরা করতালি দিয়ে অভিবাদন জানাল তাঁকে।
দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পেয়ে লেভার ভীষণ গর্বিত, উচ্ছ্বসিত, ‘হার্ব এলিয়ট আর ডন ব্র্যাডম্যানের সঙ্গে এক সারিতে থাকতে পারা সত্যিই বিশাল সম্মান। এটা আমার কাছে বিরাট ব্যাপার।’