কলকাতার দর্শক নিয়ে উচ্ছ্বসিত মাশরাফি

ঘরের পাশেই কলকাতার ইডেন গার্ডেনস। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী এই ক্রিকেট মাঠে কখনোই খেলা হয়নি বাংলাদেশের বর্তমান ক্রিকেটারদের। শেষপর্যন্ত সেই সুযোগটা এলো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মতো বড় আসরে। স্বাভাবিকভাবেই মাশরাফিরা বেশ রোমাঞ্চিত। তবে বুধবার ইডেন গার্ডেনসে পাকিস্তানের মুখোমুখি হওয়ার আগে আরেকটি কারণে উচ্ছ্বসিত বাংলাদেশের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। কলকাতায় বেশির ভাগ দর্শকের মুখেই যে থাকবে ‘বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ ধ্বনি।
কলকাতার ইডেন গার্ডেনসে বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত খেলেছে মাত্র একটি ম্যাচ। ১৯৯০ সালের এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। লর্ডস-মেলবোর্নের মতো ইডেনসে খেলার জন্যও যে অনেক অপেক্ষা করে ছিলেন সেটা জানিয়েই দিয়েছেন মাশরাফি। তিনি বলেছেন, ‘লর্ডস-মেলবোর্নের মতো ইডেনসেও খেলার জন্য সবাই মুখিয়ে থাকে৷ ছোটবেলা থেকেই এই মাঠের কথা শুনে এসেছি৷ আর এই মাঠে আমাদের সব থেকে বড় সুবিধা হলো কলকাতায় বাঙালি সমর্থকদেরও সাপোর্ট পাব আমরা৷’
দর্শক সমর্থনের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ের দারুণ নৈপুণ্য দিয়েও পাকিস্তানের চেয়ে মানসিকভাবে কিছুটা এগিয়ে আছে বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ দুটি টি-টোয়েন্টিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে লাল-সবুজের দল। তবে এজন্য খুব বেশি আত্মতুষ্টিতে ভোগার মতো বোকামিও করছেন না মাশরাফিরা। সতীর্থদের সতর্ক করে দিয়ে মাশরাফি বলেছেন, ‘পাকিস্তান দারুণ টিম৷ ইতিহাস বলছে ওরা আমাদের থেকে বেশি ভালো দল৷ ওদের অভিজ্ঞতাও রয়েছে যথেষ্ট৷ এশিয়া কাপে ওদের হারিয়েছি বলে কালকেও ওদের হারাতে পারব এ রকম ভাবার কোনো কারণ নেই৷ আমরা বিশ্বাস করি, আমাদের প্রতিদিনই উন্নতি করতে হবে৷ এশিয়া কাপেও আমাদের যে পারফরম্যান্স ছিল সেটাই ধরে রাখতে চাই৷’
চূড়ান্ত পর্বের আগে প্রথম রাউন্ডে ব্যাট হাতে দারুণভাবে জ্বলে উঠেছিলেন তামিম ইকবাল। তিন ম্যাচে একটি শতকসহ করেছেন ২৩৩ রান। পাকিস্তানের বিপক্ষেও তামিমের ব্যাট ঝলসে উঠুক, তা নিশ্চয়ই খুব করেই চাইবেন বাংলাদেশের সমর্থকরা। তবে মাশরাফির চাইছেন, অন্য ব্যাটসম্যানরাও যেন রান পান, ‘তামিম ধারাবাহিকভাবেই ভালো খেলছে৷ ফর্মেও আছে৷ ও দাঁড়িয়ে গেলে আমাদের মিডল অর্ডার নিয়ে ভাবতে হবে না৷ চাইব সৌম্যও (সৌম্য সরকার) ব্যাটে রান পাক৷ তামিম বা সৌম্য নয়, আমাদের সব ব্যাটসম্যানই ভালো করতে মুখিয়ে আছে৷’