গেইলকে আটকে রেখেছিলেন আম্পায়ার!

মাঠে নামার জন্য রীতিমতো ফুঁসছিলেন ক্রিস গেইল। বেঙ্গালুরুর চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামেও উঠেছিল ‘গেইল, গেইল’ ধ্বনি। আইপিএলে খেলার সুবাদে এটা যে হয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানের ‘হোম গ্রাউন্ড’। কিন্তু শেষপর্যন্ত ব্যাট হাতে মাঠেই নামা হলো না গেইলের। আর আম্পায়ার ইয়ান গোউল্ড তাঁকে যেভাবে আটকে রেখেছিলেন, তাও ছিল একটা দেখার মতো ব্যাপার।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কা সংগ্রহ করতে পেরেছিল মাত্র ১২২ রান। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ও প্রায় নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল তখনই। একতরফা ম্যাচের প্রধান আকর্ষণ ছিল গেইলের ঝড়ো ব্যাটিং। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই বিনোদন থেকে বঞ্চিতই হতে হয়েছে বেঙ্গালুরুর দর্শকদের।
ফিল্ডিংয়ের সময় হ্যামস্ট্রিংয়ের চোটের কারণে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল গেইলকে। ফিল্ডিংয়ের সময় যতক্ষণ মাঠের বাইরে ছিলেন, ব্যাটিংয়ের সময় ততক্ষণ ব্যাট হাতে মাঠে নামতে পারতেন না এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান। উইন্ডিজ ইনিংসের ১৩তম ওভারে দীনেশ রামদিন আউট হয়ে যাওয়ার পর মাঠে নামার জন্য অস্থির হয়ে উঠেছিলেন গেইল। পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে ব্যাট হাতে প্রায় নেমেই পড়তে যাচ্ছিলেন মাঠে। কিন্তু তাঁকে আটকে দেন আম্পায়ার ইয়ান গোউল্ড। প্রায় ধরে বেঁধে গেইলকে নিয়ে যান সাজঘরের দিকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের আর একটি উইকেটের পতন হলে অবশ্য মাঠে নামার সুযোগ পেতেন। কিন্তু গেইলকে সেই সুযোগই দেননি উইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা। গেইলের পরিবর্তে ওপেন করতে নামা আন্দ্রে ফ্লেচার ৬৪ বলে ৮৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলে দলকে এনে দিয়েছেন সাত উইকেটের সহজ জয়। প্রথম ম্যাচে শতক হাঁকানোর পর দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাটিং করতে না পেরে হয়তো কিছুটা হতাশই হয়েছেন গেইল। তবে তাঁর চেয়েও বেশি হতাশ হয়েছেন বেঙ্গালুরুর দর্শকরা। প্রায় পুরো ম্যাচেই তাঁদের চিৎকার করে বলতে শোনা গেছে, ‘আমরা গেইলকে চাই’! কিন্তু শেষপর্যন্ত গেইল বিনোদন না দেখেই স্টেডিয়াম ছাড়তে হয়েছে তাদের।