‘আরেকটা ফেল্পস আর কখনো দেখা যাবে না’

খেলাধুলার ইতিহাসে উজ্জ্বল এক অধ্যায়ের অবসান হলো, বিদায় নিলেন সর্বকালের সেরা সাঁতারু মাইকেল ফেল্পস। বিদায়বেলাতেও স্বমহিমায় উজ্জ্বল মার্কিন সাঁতার কিংবদন্তি। আজ অলিম্পিকে নিজের শেষ ইভেন্ট ৪X১০০ মিটার ব্যক্তিগত মিডলে রিলের শিরোপা জিতেই বিদায় নিলেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ফেল্পসের মতো আর কোনো সাঁতারু কি ভবিষ্যতে দেখা যাবে?
বব বোউম্যানের মতে, উত্তরটা ‘না’। ফেল্পসের কোচের দৃঢ় বিশ্বাস, তাঁর বিশ্ববিখ্যাত শিষ্যর কীর্তির পুনরাবৃত্তি করা কারো পক্ষেই সম্ভব হবে না, ‘সে সত্যিই বিশেষ প্রতিভা। এক প্রজন্মে তো নয়ই, হয়তো দশ প্রজন্মেও মাইকেলের মতো কেউ আসবে না। আসলে তার অনেক অনেক গুণ। শারীরিক সামর্থ্য, মানসিক দৃঢ়তা, পরিবারের সমর্থন সব কিছুতেই সে অনন্য। চাপের মুখে দুর্দান্ত লড়াই করার ক্ষমতারও সে অধিকারী।’
লন্ডন অলিম্পিক শেষে বিদায় নিলেও দুই বছর পর অবসর ভেঙে পুলে ফিরেছিলেন ফেল্পস। সিদ্ধান্তটা যে শতভাগ সঠিক ছিল, রিওর অলিম্পিক অ্যাকুয়াটিকস স্টেডিয়াম তার জ্বলন্ত সাক্ষী। অলিম্পিকে ২৩টি স্বর্ণ বিজয়ীও এভাবে বিদায় নিতে পেরে তৃপ্ত, ‘শেষ ওয়ার্ম-আপ, শেষবারের মতো সাঁতারের পোশাক পরে দর্শকদের সামনে দিয়ে হেঁটে আসা, দেশকে প্রতিনিধিত্ব করা—সব কিছুর অনুভূতিই অসাধারণ। চার বছর আগের চেয়ে এটা অনেক ভালো হয়েছে। আমি তো এভাবেই ক্যারিয়ার শেষ করতে চেয়েছিলাম। এটাকে বলা যায় নিখুঁত সমাপ্তি।’
বিদায়বেলায় শুধু ভক্ত বা সাধারণপ্রেমী নন, সতীর্থদের ভালোবাসাতেও সিক্ত হচ্ছেন ফেল্পস। আজ তাঁর ২৩তম স্বর্ণজয়ের সঙ্গী রায়ান মার্ফির শ্রদ্ধার্ঘ, ‘আপনি যে দেশের হয়ে সাঁতারে অংশ নিন না কেন তা কোনো ব্যাপার নয়। আপনাকে মাইকেল ফেল্পসের কাছে ঋণী থাকতেই হবে। তিনি আমাদের সবার জন্য অনেক অনেক সম্ভাবনার দরজা খুলে দিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে সাঁতরানোর অভিজ্ঞতা এককথায় অসাধারণ।’