মেসি-জাদুতে বায়ার্ন বিধ্বস্ত

লিওনেল মেসির নৈপুণ্যে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বায়ার্ন মিউনিখকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বার্সেলোনা। দলকে ফাইনালের পথে এগিয়ে নিতে জোড়া গোল করেছেন মেসি। অন্য গোলটি এসেছে নেইমারের পা থেকে।
১২ মে ফিরতি লেগ হবে বায়ার্নের মাঠে। ফাইনালে উঠতে হলে যে ম্যাচে চার গোলের ব্যবধানে জিততে হবে জার্মানির সবচেয়ে সফল ক্লাবটিকে।
ন্যু ক্যাম্পে গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর দ্বিতীয়ার্ধে জ্বলে ওঠা মেসি-নেইমারদের সামনে গুঁড়িয়ে যায় বায়ার্নের রক্ষণ-দুর্গ। ৭৭ মিনিটে বার্সাকে এগিয়ে দেন আর্জেন্টাইন তারকা মেসি। তিন মিনিট পর কাতালানদের ব্যবধান দ্বিগুণ করা গোলটিও চারবারের ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের।
ইনজুরি সময়ে স্বাগতিকদের তৃতীয় গোলের রূপকারও মেসি। পাল্টা আক্রমণ থেকে তাঁর পাসেই বায়ার্নের গোলরক্ষক মানুয়ের নয়ারকে পরাস্ত করেন নেইমার। ফ্রাঙ্ক রিবেরি ও আরিয়েন রোবেনের অনুপস্থিতিতে ম্যাচের শুরু থেকেই রক্ষণাত্মক ছিল বায়ার্ন। বল দখলের লড়াইয়ে এগিয়ে থাকলেও বড় ব্যবধানে হেরে সেমিফাইনাল থেকে বিদায়ের শঙ্কায় জার্মান বুন্দেসলিগা চ্যাম্পিয়নরা।
জোড়া গোল করে শুধু দলের জয়েই বড় অবদান রাখেননি, একটি লড়াইয়ে ‘চিরশত্রু’ ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন মেসি। ৭৭ গোল নিয়ে তিনি এখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকার শীর্ষে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা রোনালদোর গোল ৭৬টি।
২০১২ সালে বার্সেলোনার কোচের দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর এই প্রথম ন্যু ক্যাম্পে পা রেখেছিলেন পেপ গার্দিওলা। চিরচেনা এই স্টেডিয়ামে এবার এসেছিলেন ‘শত্রু’র ভূমিকায়, বায়ার্ন মিউনিখের কোচের দায়িত্ব নিয়ে। তবে বার্সার মাঠে গার্দিওলার প্রত্যাবর্তনের আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছেন তাঁর সাবেক শিষ্যরা। যাঁদের অনেককে নিয়ে তিনি কাতালানদের দুটো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা উপহার দিয়েছিলেন।
২০১২-১৩ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালে ন্যু ক্যাম্পে বার্সাকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল বায়ার্ন। এবার ঘরের মাঠে বাভারিয়ানদের একই ব্যবধানে হারিয়েই ‘প্রতিশোধ’টা নিল কাতালানরা।