শচীনের রেকর্ড ভেঙে শীর্ষে মুশফিক
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2023/12/10/musfiq_trendulkar.jpg)
ভারতের সাবেক কিংবদন্তি ক্রিকেটার শচীন টেন্ডুলকারকে রেকর্ডের বরপুত্র বলা হয়। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান, সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি, সর্বোচ্চ ফিফটি—এমন অনেক বড় বড় রেকর্ডই আছে তার নামের পাশে। তবে এবার অপ্রত্যাশিত এক রেকর্ডে শচীনকেও ছাড়িয়ে গেলেন বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম।
ক্রিকেটকে অনেকেই বলেন রেকর্ড ভাঙা-গড়ার খেলা। তবে এমন রেকর্ড বোধ হয় কেউই করতে চাইবেন না, যেটি না চাইলেও করতে হয়েছে মুশফিকুর রহিমকে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এতদিন সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারের রেকর্ড ছিল শচীন টেন্ডুলকারের। গতকাল শনিবার (৯ ডিসেম্বর) নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট হেরে শচীনকে টপকে এই অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডের মালিক এখন মুশফিক। কিউইদের বিপক্ষে এদিন ক্যারিয়ারের ২৫৭তম হার দেখলেন মুশফিক।
দুই যুগের ক্যারিয়ারে ২৫৬টি ম্যাচ হেরেছেন শচীন। তবে সব মিলিয়ে ৬৬৪টি ম্যাচ খেলেছেন ভারতীয় কিংবদন্তি ব্যাটার। অথচ দেড় যুগের ক্যারিয়ারে শচীনের থেকে ২০৯টি ম্যাচ কম খেলে এই রেকর্ডের মালিক এখন মুশফিক। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে এই উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ম্যাচ খেলেছেন ৪৫৫টি।
মুশফিক ও শচিনের পর ক্রিকেটের সব সংস্করণ মিলিয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ হারার তালিকায় তৃতীয় স্থানে আছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনে। ২৪৯ ম্যাচে তিনি তিক্ত হারের স্বাদ পেয়েছেন। ম্যাচ হারের দিক থেকে এরপর যথাক্রমে অবস্থান ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল ২৪১ ও আরেক লঙ্কান কিংবদন্তি সনাৎ জয়সুরিয়ার ২৪০।
অবশ্য মুশফিক কেবল হারের রেকর্ডই গড়েননি, দেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি জয়ের রেকর্ডেও আছে তার নাম। ৩৬ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার বাংলাদেশের পক্ষে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৭৬টি ম্যাচ জিতেছেন। মুশফিকের চেয়ে বেশি ম্যাচ জিতেছেন কেবল বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার দেশের ৪৩০ ম্যাচের ১৭৭টিতে জয়ের স্বাদ পেয়েছেন।
মুশফিক যখন ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন, তখন একেকটি জয়ের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হতো বাংলাদেশ দলকে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে মুশফিকের জয়ের পরিসংখ্যানে। ২০০৫ সালের মে মাসে অভিষেক থেকে ধরে ২০১০ সালের এপ্রিল পর্যন্ত মোট ১০৩ ম্যাচ খেলা মুশফিক ৬৮টি ম্যাচে হারের স্বাদ পান।