মাঝারি লক্ষ্য টপকে যুক্তরাষ্ট্রকে হারাতে পারবে বাংলাদেশ?
আগের ম্যাচ কেটেছিল দুঃস্বপ্নের মতো। ব্যাটে-বলের হতাশায় আনকোরা যুক্তরাষ্ট্রের সামনে বাংলাদেশ দেখে লজ্জার হার। যাতে রীতিমতো সিরিজ হারানোর শঙ্কায় পড়ে গেছে বাংলাদেশ। তাই, জয় পেতে মরিয়া আজ যুক্তরাষ্ট্রকে যেতে দেয়নি বেশিদূর। আগে বোলিং করে যুক্তরাষ্ট্রকে দেড়শর নিচে থামিয়ে দিয়েছে নাজমুল হোসেন শান্তর দল।
টেক্সাসের গ্র্যান্ড প্রিয়ারে স্টেডিয়ামে ম্যাচটিতে টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ১৪৪ রান তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্যাট হাতে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪২ রান করেছেন মোনাক প্যাটেল।
আগের দিন আগে ব্যাট করে হেরেছিল বাংলাদেশ। তাই টস জিতেই আজ বৃহস্পতিবার বোলিং বেছে নেন অধিনায়ক শান্ত। কিন্তু, আগে বোলিং করার সুবিধাটা খুব একটা কাজে লাগাতে পারেনি বাংলাদেশ। বরং ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ করে যুক্তরাষ্ট্র।
উইকেটে জমে যায় দুই ওপেনার স্টিভেন টেইলর ও মোনাক প্যাটেলের। সাকিব-মুস্তাফিজদের ছক্কা হাঁকিয়ে বড় কিছুর আভাস দিয়েছিলেন টেইলর। অবশেষে জমে যাওয়া টেইলরকে থামান রিশাদ হাসান।
ইনিংসের সপ্তম ওভারে এসে জোড়া উইকেট তুলে নেন রিশাদ। বাংলাদেশি লেগ স্পিনারকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ডিপ মিড উইকেটে ক্যাচ দেন স্টিভেন টেইলর। বাঁহাতি ওপেনার ২৮ বলে ৩১ রান করেন। যা সাজানো ৩ চার ও ২ ছক্কায়।
পরের বলেই বিদায় নেন ওয়ানডাউনে নামা অ্যান্ড্রিস গিউস। রিশাদের ঘূর্ণিতে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ৪৪ রানে জোড়া ধাক্কা খেয়ে কিছুটা ব্যাকফুটে অবস্থায় যায় স্বাগতিকরা।
কিন্তু,তৃতীয় জুটিতেই কাটিয়ে ওঠে সেই ধাক্কা। অ্যারন জোন্সকে নিয়ে আরেকটি চমৎকার জুটি উপহার দেন প্যাটেল। এই জুটিতে চড়ে ১৫তম ওভারে দলীয় শতরান পার করে যুক্তরাষ্ট্র। শরিফুল-মুস্তাফিজদের পরীক্ষা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে এগিয়ে নেন তারা। দুজন মিলে লড়াই করেন ১৬ ওভার পর্যন্ত।
নিজের দ্বিতীয় স্পেলে এসে এই জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজ। জোন্সকে আউট করে খেলায় ফেরান বাংলাদেশকে। ৩৪ বলে ৩৫ করে সাজঘরে যান জোন্স, তার বিদায়ে ভাঙে ৫৬ বলে গড়া ৬০ রানের জুটি। উইকেটে এসে টিকতে পারেননি কোরে অ্যান্ডারসনও। এমনকি আগের ম্যাচের নায়ক হারমিত সিংও আজ পারেননি জ্বলে উঠতে। রানের খাতা খোলার আগেই তাকে মাঠছাড়া করেন মুস্তাফিজ।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিলে উইকেটে বেশিক্ষণ টিকে ছিলেন প্যাটেল। যদিও রানের গতি ছিল তার মন্থর। তবে, তার ব্যাটে চড়েই এই পুঁজি পায় স্বাগতিকরা।
বল হাতে বাংলাদেশের হয়ে ২১ রান দিয়ে দুটি উইকেট নেনে রিশাদ হাসান। ২৯ রান দিয়ে শরিফুল ইসলামের শিকারও দুটি। ৩১ রান খরচায় মুস্তাফিজও নেন দুই উইকেট।