রংপুরকে হটিয়ে কোয়ালিফায়ারে চিটাগং
গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে চিটাগং কিংসের সামনে খোলা ছিল দুটি পথ। প্লে-অফ নিশ্চিত হওয়ায় হালকাভাবে ম্যাচটিকে নেওয়া অথবা কোয়ালিফায়ারে যেতে অবশ্যই জয় তুলে নেওয়া। কোয়ালিফায়ারে সরাসরি জায়গা পেলে ফাইনালে যাওয়ার বাড়তি সুযোগ থাকে। যেটি এলিমিনেটরে নেই। বিপিএলে আজ শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ম্যাচটি তাই বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল চিটাগংয়ের সামনে। এমন ম্যাচে ঠিকই জয় তুলে নিয়েছে দলটি।
মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে বরিশালকে ২৪ রানে হারিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ারে জায়গা নিশ্চিত করেছে চিটাগং। এই জয়ে রংপুর রাইডার্সকে তিনে ঠেলে দ্বিতীয় স্থান মজবুত করেছে দলটি। কোয়ালিফায়ারেও তাদের প্রতিপক্ষ বরিশাল। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে বরিশাল। চিটাগং ও রংপুরের পয়েন্ট সমান ১৬, রানরেটে এগিয়ে দুইয়ে চিটাগং।
টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ২০৬ রান করে চিটাগং। জবাবে ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানে থামে বরিশাল।
বড় রান তাড়ায় সুবিধা করে উঠতে পারেনি বরিশাল। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত হয়েছে আগেই। তাই, এই ম্যাচটি বরিশালের কাছে ছিল নিয়মরক্ষার। বরিশালের ব্যাটারও নিজেদের মেলে ধরতে পারেননি ঠিকমতো। ডেভিড মালান অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন তার জায়গা থেকে। ৩৪ বলে ৫টি চার ও ৬টি ছক্কায় ৬৭ রান করেন তিনি। মুশফিকুর রহিমের ব্যাট থেকে আসে ২ বলে ২৪ রান। বাকিরা ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলে পরাজয় সময়ের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়।
শেষ দিকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ হাল ধরেন। জমিয়ে তোলেন খেলা। যদিও, দুটি করে চার ও ছক্কায় ২৬ বলে মাহমুদউল্লাহর ৪১ রানে অপরাজিত ইনিংসটি কেবল হারের ব্যবধান কমিয়েছে। জয় থেকে ২৪ রান দূরে থামে বরিশাল।
চিটাগংয়ের পক্ষে বিনুরা ফার্নান্দো ও আলিস ইসলাম নেন দুটি করে উইকেট। খালেদ আহমেদ ও আরাফাত সানি পান একটি করে উইকেট।
ব্যাটিংয়ে নামা চিটাগংয়ের হয়ে আলো ছড়ান ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন। আরেক ওপেনার খাজা নাফাইকে নিয়ে দারুণ সূচনা এনে দেন দলকে। দলীয় ৫৮ রানে নাফাই বিদায় নেন ২২ রান করে। তবে, আরেক প্রান্ত আগলে রেখে ইমন খেলেন ৭৫ রানের দুর্দান্ত ইনিংস। ৪১ বলের ইনিংসটি তিনি সাজান একটি চার ও ৮০টি ছক্কায়।
ওয়ানডাউনে নামা গ্রাহাম ক্লার্কের ব্যাট থেকে আসে ২৬ রান। চিটাগংয়ের সংগ্রহ ২০০ ছাড়াতে সাহায্য করেছে হায়দার আলী ও শামীম হোসেনের দুটি ঝড়ো ইনিংস। ২৩ বলে সমান তিনটি করে চার ও ছক্কায় ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন হায়দার। ১২ বলে ৩টি চার ও দুটি ছক্কায় ৩০ রানের ক্যামিও খেলে শামীমও থাকেন অপরাজিত।
বরিশালের পক্ষে তাইজুল ইসলাম দুটি এবং ইবাদত হোসেন ও মোহাম্মদ নবী নেন একটি করে উইকেট।