বিপিএল শেষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি কারা
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2025/02/07/blpwr.jpg)
টি-টোয়েন্টি মানেই ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ের প্রদর্শনী। সমান্তরালে বোলারদের হাহাকার। এর মাঝেও নজর কেড়েছেন অনেকে। কখনও গতির গোলায়, কখনও স্পিন বিষে নীল করেছেন ব্যাটারদের। দলের জয়ে ব্যাটারদের পাশাপাশি ভূমিকা রেখেছেন বোলাররাও। দেখে নেওয়া যাক বিপিএলের একাদশ আসরের সেরা পাঁচ বোলার কারা।
১. তাসকিন আহমেদ : নিজের ক্যারিয়ারের সেরা বিপিএলটা খেলেছেন দুর্বার রাজশাহীর পেসার তাসকিন আহমেদ। ১২ ম্যাচে ১২.০৪ গড়ে তার সংগ্রহ ২৫ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ১৯ রানে ৭ উইকেট। যা বিপিএলের ইতিহাসে সেরা ও টি-টোয়েন্টি ইতিহাসে তৃতীয় সেরা ফিগার। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে তাসকিনের এমন দাপুটে বোলিংয়ে আশা দেখছেন সমর্থকরা।
২.ফাহিম আশরাফ : চ্যাম্পিয়ন ফরচুন বরিশালের পেসার ফাহিম আশরাফ পুরো বিপিএলজুড়ে দারুণ বোলিং করেছেন। ১১ ইনিংসে ১৯.৯০ গড়ে তার সংগ্রহ ২০ উইকেট। বিদেশিদের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে কার্যকরী। ৭ রানে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নিয়েছেন তিনি। যদিও টুর্নামেন্টের শেষ পর্যন্ত তার সার্ভিস পায়নি দলটি। ব্যাট হাতে খুব একটা অবদান রাখতে না পারলেও বল হাতে ফাহিম ছিলেন দুর্দান্ত।
৩.আকিফ জাবেদ : এলিমিনেটর থেকে ছিটকে গেলেও পুরো টুর্নামেন্টে রংপুরের জার্সিতে দারুণ বোলিং করেছেন আকিফ। ১১ ম্যাচে নিয়েছেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ২০ উইকেট। গড় ১৪.৩০। সেরা বোলিং ফিগার ৩২ রানে চার উইকেট। দল কোয়ালিফায়ারে উঠলে তার উইকেটসংখ্যা আরও বাড়তে পারত।
৪.খালেদ আহমেদ : নিজেকে দুর্ভাগা ভাবতেই পারেন চিটাগং কিংসের পেসার খালেদ আহমেদ। ফাইনালসহ প্রতি ম্যাচেই মাঠে নেমেছেন তিনি। ১৪ ম্যাচে ২১.৫৫ গড়ে তার সংগ্রহ ২০ উইকেট। সেরা বোলিং ফিগার ৩১ রানে চার উইকেট। ফাইনালেও সুযোগ ছিল দারুণ কিছু করার। তবে, সেই সুযোগ কাজে লাগাতে ব্যর্থ এই ডানহাতি পেসার।
৫.খুশদিল শাহ : রংপুর রাইর্ডাস : এবারের বিপিএলে শুধু ব্যাট হাতে নয় বল হাতেও রংপুরের সেরা পারফর্মার খুশদিল শাহ। পাকিস্তানি এই অলরাউন্ডার ১০ ম্যাচে মাত্র ৯.৯৪ গড়ে নেন ১৭ উইকেট। প্লে-অফে তার না থাকাটা রংপুরের জন্য ছিল বেশ বিপাকের। কারণ এলিমিনেটর ম্যাচে তার অভাবটা বেশ ভালোভাবেই টের পেয়েছে দল।