ফেসবুক পোস্টে সমালোচনার ঝড় তুললেন রুমানা-জ্যোতিরা

দেশের ক্রিকেটারদের কল্যাণে গঠিত সংগঠন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (কোয়াব)। বর্তমানে অ্যাডহক কমিটি দিয়ে চলছে সংগঠনটি। গত ৪ আগস্ট মিরপুরে সভা শেষে ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেন সংগঠনটির আহ্বায়ক সেলিম শাহেদ। কিন্তু সেখানে ছিলেন না নারী ক্রিকেটাররা। ক্রিকেটারদের কল্যাণে কাজ করছে কিন্তু সংগঠনটির সভায় কোন নারী ক্রিকেটার নেই। যেটি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নারী ক্রিকেটাররা। নারী ক্রিকেটের প্রতি বৈষম্যের অভিযোগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করেছেন দেশের দুই নারী ক্রিকেটার।
বৈষম্যের অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করেছেন বাংলাদেশ দলের অলরাউন্ডার রুমানা আহমেদ। নারী ক্রিকেটারদের কোন আলোচনায় না আনা, নারীদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ না হওয়া বা উন্নত দেশেগুলোর মতো নারী ক্রিকেটকে একসঙ্গে এগিয়ে না নেওয়ার বিষয়গুলো তুলে এনছেন তিনি।
রুমানা তার পোস্টে লিখেছেন, ‘বৈষম্য, বৈষম্য আর বৈষম্য। যেখানে ক্রিকেটে উন্নত দেশগুলো তাদের নারী ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিয়ে অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আমরা নারী ক্রিকেটারদের কোনো প্রকার আলোচনাতেও আনছি না। আমাদের বৈষম্যটা কেন? আমরাও তো এ দেশের ক্রিকেটে গৌরব বয়ে আনছি। বহির্বিশ্বে যেখানে নারীরা ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ যেমন– wipl, wbbl, wpsl….খেলে, সেখানে আমরা এটা (wbpl) নিয়ে আলোচনা করতে করতে থেমে যাই। বারবার একইভাবে পরের বছর বলে বলেই থেমে যায়। যদিও আমাদের ছেলেদের bpl এখনো দাঁড়াতে পারিনি। কিন্তু এই দায়ভার কার?’

ক্রিকেটারদার কল্যাণে কাজ করা কোয়াবের সভায় নারী ক্রিকেটারদের উপস্থিত না থাকা নিয়েও সমালোচনা করেছেন রুমানা আহমেদ। সবশেষে ক্রিকেটে নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করে সুন্দর সংস্কৃতি তৈরি করার ব্যাপারে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
এই ব্যপারে রুমানা আহমেদ লিখেছেন, ‘সম্প্রতি বোর্ডে কোয়াব নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে। এখানে পুরুষ ক্রিকেটারের অনেক আনাগোনা দেখলেও, কোনো নারী ক্রিকেটারের দেখা মিলল না। তাহলে আমাদের অবস্থান কোথায়? যাদের হাত ধরে এই নারী ক্রিকেট তারাইবা কোথায় এখন? তামিম-সাকিব-মাহমুদুল্লাহ যদি সবার আলোচনাতে থাকে, সালমা-রুমানা-জাহানারাদের নিয়ে কোথায় আলোচনা? কবে আমরা নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করব? কবে একটা সুন্দর সংস্কৃতি তৈরি করব? এত বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এটুকু মূল্যবোধ তো আশা করতেই পারি।’

বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতি। তাকেও দেখা যায় এক বাক্যে একটি পোস্ট করতে, বিস্তারিতভাবে কিছু না লেখলেও ক্ষোভ থেকেই যে লিখেছেন সেটি তার বক্তব্যেই স্পষ্ট। ফেসবুক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ক্রিকেটার আর নারী ক্রিকেটারের ভেতর পার্থক্য আছে বন্ধু।’