ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ ক্লাবে যোগ দিলেন রোনালদিনহোর ছেলে

ফুটবলকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি রোনালদিনহো। তার জাদুকরী পায়ের ছোঁয়ায় মুগ্ধ করেছেন দর্শকদের। এই ফুটবল জাদুকরের ছেলে জোয়াও মেন্ডেসও বাবার পথ ধরেই পেশাদার ফুটবলের স্বপ্ন বুনেছেন ছোটবেলা থেকে। ইংলিশ ক্লাব বার্নলিতে এক মৌসুম কাটোনোর পর আরেক ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ ক্লাব হাল সিটির সঙ্গে এক বছরের চুক্তি করেছেন মেন্ডেস।
১০ বছর বয়সে ফ্ল্যামেঙ্গোর একাডেমিতে পা রাখেন মেন্ডেস। এখান থেকেই তার ফুটবলের পথচলা শুরু। পরে ভাস্কো দা গামা ও ক্রুজেইরোর একাডেমির হয়ে খেলেছেন। এরপর বাবা রোনালদিনহোর পথ ধরে ২০২৩ সালে যোগ দেন বার্সেলোনার একাডেমিতে।
বাবা রোনালিদিনেহো স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে মাঠ মাতিয়েছেন দীর্ঘদিন। তবে ছেলে বার্সেলোনাতে থিতু হতে পারেননি। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে এক ট্রায়ালে মুগ্ধ করার পর ২০২৩ সালে বার্সেলোনার একাডেমি ‘লা মাসিয়া’তে যোগ দেন। উদ্দেশ্য ছিল বাবার পথ ধরে কাতালান ক্লাবে সাফল্য খোঁজা। কিন্তু সেই স্বপ্ন টিকে ছিল মাত্র ১৮ মাস। ২০২৪ সালে তাকে ছেড়ে দেয় বার্সেলোনা।
কাতালান ক্লাবটি তাকে ছেড়ে দিলেও থেমে থাকেননি মেন্ডেস, স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে পাড়ি দেন ইংল্যান্ডে। যোগ দেন বার্নলিতে, তবে ক্লাবটির মূল দলের হয়ে খেলা হয়নি তার। বার্নলির অনূর্ধ্ব-২১ দলে খেলেছেন।
বার্নলি ছেড়ে ২০ বছর বয়সী এই উইঙ্গার এবার এক বছরের চুক্তিতে যোগ দিয়েছেন ইংলিশ চ্যাম্পিয়নশিপ ক্লাব হাল সিটিতে। ক্লাবটির অনূর্ধ্ব–২১ দলের অংশ হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করছেন তিনি।
নতুন ক্লাবে যোগ দেওয়ার পর মেন্ডেস নিজেও বেশ আশাবাদী। চুক্তির পর এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি খুব খুশি ও উচ্ছ্বসিত। মনে হচ্ছে এটা ভালো একটি মৌসুম হতে যাচ্ছে। আমি ডান উইঙ্গার বা অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার হিসেবে খেলি। আমি একজন দ্রুতগতির, আক্রমণাত্মক ও কৌশলী খেলোয়াড়। আমার মনে হয়, ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ফুটবলে খেলার অভিজ্ঞতা একজন খেলোয়াড়ের জন্য অনেক বড় সুবিধা। ব্রাজিলে এক রকম খেলা হয়, স্পেনে আরেক রকম, আর ইংল্যান্ডের স্টাইল একেবারেই ভিন্ন। এসব জায়গায় খেলার অভিজ্ঞতা একজন খেলোয়াড়কে আরও পরিণত করে, তার খেলায় নতুন মাত্রা যোগ করে।’
রোনালদিনহো বার্সেলোনার হয়ে ২০৭ ম্যাচ খেলেছেন, ২০০৫ সালে জিতেছেন ব্যালন ডি’অর, ব্রাজিলের হয়ে খেলেছেন ৯৭ ম্যাচ, ২০০২ সালে ব্রাজিলের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। এখন বাবার পথ ধরে মেন্ডেস কতদূর এগিযে যেতে পারবেন তা সময়ই বলে দিবে।