ব্যাটিং ব্যর্থতা সামলে মাঝারি সংগ্রহ বাংলাদেশের

তখনও রানের খাতা খোলেনি বাংলাদেশ। অথচ, নেই দুই উইকেট। সেই যে শুরু, গোটা ইনিংসে ব্যাট হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন সাজঘরে ফেরেন শূন্য রানে। এই শূন্যতা বাকি অংশে আর সেভাবে পূর্ণ হয়নি। চেষ্টায় অবশ্য ত্রুটি রাখেনি মিডল অর্ডার।
এশিয়া কাপে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ থেমেছে অল্পতে। আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে টসে হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৩৯ রান।
প্রথম ওভারের শেষ বলে তামিম বোল্ড হন নুয়ান থুসারার বলে। ৬ বল খেলে খুলতে পারেননি রানের খাতা। দ্বিতীয় ওভারে দুশমন্থ চামিরার শিকার হন ইমন। ৪ বল খেলে কোনো রাননা করেই কুশল মেন্ডিসের তালুবন্দি হন।
দলের বিপদ বাড়ান তাওহিদ হৃদয়। দলীয় ১১ রানে রানআউট হন তিনি। তার ব্যাট থেকে আসে ৯ বলে ৮ রান। আসা-যাওয়ার মিছিলে নাম লেখান শেখ মেহেদিও। ওয়ানিন্দু হাসারাঙার ডেলিভারিতে লেগবিফোর হওয়ার আগে ৭ বলে ৯ করেন।
বাংলাদেশ অধিনায়ক লিটন দাস চেষ্টা করেছিলেন স্কোরবোর্ডে সুশ্রী ভাব আনতে। ২৬ বলে চারটি চারে ২৮ রান করে হাসারাঙার বলে কুশল মেন্ডিসকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৫৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশকে নিয়ে শঙ্কা ছিল শতরানের আগে গুটিয়ে যাওয়ার।
শামীম হোসেন সেটি হতে দেননি। একপ্রান্ত আগলে রেখে লঙ্কান বোলারদের ওপর চড়াও হন শামীম। ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলীকে নিয়ে হাল ধরেন। এই জুটিতে আসে অবিচ্ছিন্ন ৮৬ রান। দুজন মিলে সস্তি আনেন টাইগার শিবিরে।
৩৪ বলে একটি তিনটি চার ও এক ছক্কায় ৪২ রানে অপরাজিত থাকেন শামীম। ম্যাচে এটিই বাংলাদেশের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ। জাকের অপরাজিত থাকেন ৩৪ বলে ৪১ রানে।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে হাসারাঙা দুটি এবং চামিরা ও থুসারা নেন একটি করে উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ২০ ওভারে ১৩৯/৫ (তামিম ০, ইমন ০, লিটন ২৮, হৃদয় ৮, মেহেদি ৯, জাকের ৪১*, শামীম ৪২*; থুসারা ৪-১-১৭-১, চামিরা ৪-১-১৭-১, শানাকা ৩-০-২৭-০, পাথিরানা ৪-০-৪২-০, হাসারাঙ্গা ৪-০-২৫-২, আসালাঙ্কা ১-০-৬-০)।