এক ওভারের আক্ষেপে না পুড়তে হয় বাংলাদেশকে!

১৮ ওভার পর্যন্ত আফগানিস্তানকে চেপেই ধরেছিল শ্রীলঙ্কা। লঙ্কান ভক্তদের পাশাপাশি বাংলাদেশি ভক্তরাও বেশ ফুরফুরে মেজাজেই ছিল। সেই খোশমেজাজে পানি ঢাললেন মোহাম্মদ নবী। শেষ দুই ওভারে আফগানিস্তান তোলে ৪৭ রান। ১৯তম দুশমন্ত চামিরাকে টানা তিনটি চার মেরে নবী যেন সিট বেল্ট বাঁধলেন। এরপর শুরু করলেন তাণ্ডব। যাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল লঙ্কানরা। দুনিথ ভেল্লালাগের ওপর দিয়ে যে ঝড় সবচেয়ে বেশি বয়ে গেছে, যার আঁচ লেগেছে বাংলার ভক্তদের মনেও।
২০তম ওভারের প্রথম পাঁচ বলের হিসেবটা এমন—৬, ৬, ৬, নো বল, ৬, ৬! পাঁচ বলে পাঁচ ছক্কা মেরে নেবী সবাইকে ফিরিয়ে নিলেন ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছয় বলে ছয় ছক্কা মেরেছিলেন যুবরাজ সিং। শেষ বলে নবী মারতে পারেননি। ছক্কা হয়নি। ডবল নিতে গিয়ে হয়েছেন রান আউট। তার আগেই অবশ্য যা করার করে গেছেন। তার ব্যাটে ভর দিয়ে ২০ ওভারে ১৬৯ রানের শক্ত পুঁজি দাঁড় করায় আফগানিস্তান।
তিনটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ২২ বলে ৬০ রান আসে নবীর ব্যাট থেকে। বিশেষত শেষ ওভারের ৩২ রান ঘুরিয়ে দিয়েছে ম্যাচের চিত্র। চিরস্থায়ী অনিশ্চয়তার খেলা ক্রিকেটে যেকোনো সময়ই ঘুরতে পারে মোড়। তবে, এই এক ওভারে ভর দিয়ে যদি আফগানিস্তান এশিয়া কাপের সুপার ফোরে উঠে যায়, তাতে আক্ষেপে পুড়বে বাংলাদেশ। ‘বি’ গ্রুপের এই ম্যাচের দিকে যে বাংলাদেশও তাকিয়ে।
আবুধাবির শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে আজ বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) আফগান তারকা নবী দেখালেন, প্রয়োজনে কীভাবে জ্বলতে হয়। তার জ্বলে ওঠায় যদি সুপার ফোরের পথ পেয়ে যায় আফগানিস্তান, তাতে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।