অবশেষে এলো অ্যাপল টিভি
অপেক্ষার পালা শেষ। প্রায় তিন বছর পর নতুন আপডেট নিয়ে হাজির হলো অ্যাপল টিভি। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ম্যাশেবল জানায়, নতুন এই সেট টপ-বক্সের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার দুটোই একেবারে সাজানো হয়েছে নতুন আঙ্গিকে। এ ছাড়া আছে নতুন রিমোট কন্ট্রোল। আর থার্ড পার্টি অ্যাপের জন্য আছে নতুন অ্যাপ স্টোর।
অ্যাপলের প্রধান নির্বাহী টিম কুক বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতের টিভি হবে অ্যাপনির্ভর।’
নতুন অ্যাপল টিভির ৩২ জিবি মেমোরি ভার্সনের দাম হবে ১৪৯ মার্কিন ডলার। আর ১৯৯ মার্কিন ডলারে পাওয়া যাবে ৬৪ জিবি মেমোরির টিভি। টিভিটি বাজারে আসবে চলতি বছরের অক্টোবরে।
অ্যাপল টিভি বাজারে ছাড়ার পর এবারই সবচেয়ে বেশি পরিবর্তন আনা হয়েছে এতে। নতুন এই টিভিতে ব্যবহার করা হয়েছে অ্যাপলের এএইট প্রসেসর, একই চিপ যেটি আইফোন ৬ এবং আইপ্যাড এয়ার ২-তে ব্যবহার করা হয়েছে।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, প্রথমবারের মতো ব্যবহার করা হয়েছে টিভির অপারেটিং সিস্টেম। ‘টিভি ওএস’-এ আছে টাচ ও ভয়েস দিয়ে চালানো যাবে, এমন সিরি রিমোট কন্ট্রোল।
সফটওয়্যারের দিক থেকেও এবারের টিভি অনেক দূর এগিয়েছে। থার্ড পার্টির জন্য অ্যাপ স্টোর আর সিরি এদিক থেকে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখছে। আইওস নাইনের মতো এখানেও সিরি দিয়ে কমান্ড করা যাবে। শুধু মুখ দিয়ে বললেই সঙ্গে সঙ্গে পর্দায় ভেসে আসবে আপনার পছন্দের মুভি কিংবা কোনো সিরিজ।
ধরুন বললেন, ‘শো মি অ্যানিমেটেড মুভিজ।’ দেখবেন, সঙ্গে সঙ্গেই একগাদা অ্যানিমেটেড মুভি নিয়ে সিরি আপনার সামনে হাজির! তবে এখনো বেশ কিছু সীমাবদ্ধতা আছে সিরির। অ্যাপল আশা করছে, খুব তাড়াতাড়ি এগুলো কাটিয়ে উঠতে পারবে তারা।
খুব শিগগির অ্যাপল একটি স্পেশাল এপিআই খুলবে, যাতে ডেভেলপাররা অ্যাপল টিভির জন্য অ্যাপ বানানো শুরু করতে পারেন। বুধবার জমকালো আয়োজনের মধ্য দিয়ে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে অ্যাপল টিভির পার্টনারদের সঙ্গে, যাদের মধ্যে ছিল নেটফিক্স, ডিজনি, এইচবিও এবং এয়ার বিএনবি। মজার ব্যাপার হলো, অ্যাপল টিভির টাচপ্যাড দিয়ে গেমসও খেলা যাবে সানন্দে! এমনকি মাল্টিপ্লেয়ার সাপোর্টও থাকবে।
এ ছাড়া অ্যাপল আরো প্রদর্শন করেছে গিল্টের এক নতুন শপিং অ্যাপ, যার মাধ্যমে অ্যাপল টিভিতে ব্রাউজ করে বিভিন্ন শপিং করা যাবে। আবার সরাসরি খেলা দেখতে স্প্লিট স্ক্রিন করার জন্য এমএলবি নামক আরেকটি অ্যাপও প্রদর্শিত হয়।