আবারও পিছিয়ে গেল নির্ভয়ার চার ধর্ষকের ফাঁসি

ভারতের আলোচিত নির্ভয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া চার আসামির ফাঁসি আবারও পিছিয়ে গেল। চার আসামির মধ্যে একজনের রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন বাকি ছিল। গতকাল সোমবারই চার আসামির একজন পবন গুপ্ত ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায়। সে আবেদন এখন রাষ্ট্রপতির বিবেচনায় রয়েছে। এ অবস্থায় আজ মঙ্গলবার ভোরে ফাঁসি হওয়ার কথা থাকলেও, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ফাঁসি স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছেন দিল্লির একটি আদালত। কলকাতাভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর জানিয়েছে।
এদিকে গতকাল মৃত্যুদণ্ডাদেশের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাবাসের জন্য আদালতে আবেদন জানিয়েছিল পবন। ২০১২ সালে ঘটনার সময় সে নাবালক ছিল—এমন দাবি করে এ আবেদন জানায় পবন। কিন্তু শীর্ষ আদালত তার আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর দ্রুত সময়ের মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষার আবেদন জানায় পবন। সে কথা জানিয়ে পটিয়ালা হাউস কোর্টের দ্বারস্থ হন পবনের আইনজীবী। রাষ্ট্রপতির সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত ফাঁসি স্থগিত রাখার আবেদন জানান তিনি। এ জন্য অনির্দিষ্টকালের জন্য ফাঁসি পিছিয়ে দেন অতিরিক্ত দায়রা আদালতের বিচারপতি ধর্মেন্দ্র রানা।
২০১২ সালের ১৬ ডিসেম্বর দিল্লির তরুণী নির্ভয়াকে গণধর্ষণের পর লোহার রড দিয়ে নৃশংসভাবে নির্যাতন করা হয়। এরপর ২৯ ডিসেম্বর সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে শেষ পর্যন্ত হার মানতে বাধ্য হন নির্ভয়া। লজ্জায় মুখ ঢাকে গোটা দিল্লি।
প্যারামেডিকেলের ওই ছাত্রীকে নির্মমভাবে গণধর্ষণ ও হত্যা করে মোট ছয়জন। তাদের মধ্যে একজন নাবালক বলে সংশোধনাগার থেকে তিন বছর পর ছাড়া পেয়ে যায়। এ ছাড়া অন্যতম অভিযুক্ত রাম সিং জেলের মধ্যেই আত্মহত্যা করে। বাকি চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করেন আদালত।
এ নিয়ে মোট তিনবার নির্ভয়া হত্যাকাণ্ডের চার অপরাধীর মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেন দিল্লি আদালত। এর আগে দুবার আইনি জটিলতায় পিছিয়ে যায় তাদের ফাঁসি। এর আগে গত ২২ জানুয়ারি ও পরে আবার ১ ফেব্রুয়ারি ফাঁসি কার্যকরের ঘোষণা হয়েছিল।