আমি সবার মুখ্যমন্ত্রী, সব দলের মুখ্যমন্ত্রী : কেজরিওয়াল

টানা তৃতীয়বারের মতো ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লির মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রোববার দুপুরে দিল্লির রামলীলা ময়দানে অপরিবর্তিত মন্ত্রিসভা নিয়ে শপথগ্রহণ করেন আম আদমি পার্টির এই নেতা।
কেজরিওয়ালকে শপথবাক্য পাঠ করান দিল্লির লেফটেন্যান্ট গভর্নর বা উপ-রাজ্যপাল অনিল বৈজল। কেজরিওয়ালের পর দিল্লির উপ-মুখ্যমন্ত্রী পদে ফের শপথ নেন মণীশ শিসোদিয়া।
তাঁদের পর সত্যেন্দ্র জৈন, গোপাল রাই, কৈলাস গেহলোট, ইমরান হুসেন, রাজেন্দ্রনাথ গৌতম দিল্লি মন্ত্রীসভার মন্ত্রী পদে শপথ নেন। কেজরিওয়ালসহ এদিন তৃতীয় আপ মন্ত্রিসভার মোট ছয় মন্ত্রী শপথ নেন।
শপথগ্রহণের পর রামলীলা ময়দানের দর্শকদের সামনে ‘ভারত মাতা কি জয়’ বলে হুংকার ছাড়েন কেজরিওয়াল। এরপর ‘বন্দে মাতারাম’ ও ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ বলেও স্লোগান দেন কেজরিওয়াল।
এ সময় কেজরিওয়াল বলেন, ‘কেউ আম আদমি পার্টি, কেউ বিজেপি ও কেউ কংগ্রেসকে ভোট দিয়েছেন। কিন্ত আমি এখন সবার মুখ্যমন্ত্রী। সব দলের মুখ্যমন্ত্রী। আমি গত পাঁচ বছর বিজেপির লোকদের জন্যও কাজ করেছি, আপের লোকদের জন্যও কাজ করেছি। ভোট শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু আমি আগামী পাঁচ বছর সবার কাজ জন্যই করব। কারো কোনো সমস্যা হলেই আমার কাছে আসবেন। আমি প্রত্যেকের মুখ্যমন্ত্রী। সবার হয়েই কাজ করব। আমি একা দিল্লিকে উন্নত করতে পারব না। দিল্লির দুকোটি মানুষ আর সব বিরোধী রাজনৈতিক দলের সাহায্য চাই এজন্য।’
কেজরিওয়াল বলেন, ‘ভোটের সময় অনেক কথাই হয়। কিন্তু ভোট শেষ। বিরোধী দলগুলোকে বলছি সব ভুলে যান। আমরা আমাদের তরফ থেকে সবাইকে ক্ষমা করে দিয়েছি। এখন একসঙ্গে মিলে দিল্লিকে সুন্দর ও উন্নত করার কাজ করব আমরা। আমি কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও মিলে কাজ করতে চাই। আমি প্রধানমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম এই অনুষ্ঠানে থাকার জন্য। কিন্তু তিনি নিশ্চয়ই কোনো ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত তাই আসতে পারেননি। আমি প্রধানমন্ত্রীর আশির্বাদ চাই যাতে দিল্লি সারা বিশ্বের সেরা শহর হয়।’
কেজরিওয়াল আরো বলেন, ‘দিল্লিকে আমি চালাই না। দিল্লিকে চালান শিক্ষকরা, গাড়িচালকরা, ছাত্ররা ও ব্যবসায়ীরা। যাঁরা দিল্লিকে রোজগার দেন। নেতারা আসে আবার চলে যায়। রাজনৈতিক দল আসে আবার চলে যায়। কিন্তু দিল্লি সামনে এগিয়ে যেতে থাকে দিল্লিবাসীর জন্যই।’
সবশেষে উপস্থিত জনতার সঙ্গে ‘হাম হোঙ্গে কামিয়াব’ গান গেয়ে নিজের ভাষণ শেষ করেন কেজরিওয়াল।