উত্তঙ্গু বিক্ষোভ থামানোর সমাধানসূত্র খুঁজতে মন্ত্রিপরিষদের সঙ্গে মোদির বৈঠক

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে ভারতে চলছে সংঘাতময় বিক্ষোভ। এরই মধ্যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ১৪ জন।
এমন পরিস্থিতিতে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ থামানোর পথ খুঁজতে আইনশৃঙ্খলাজনিত বিষয়াদি নিয়ে আজ শনিবার মন্ত্রিপরিষদের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
চলমান বিক্ষোভকে হিন্দু জাতীয়তাবাদী মোদি সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় সংকটগুলোর একটি বলছেন বিশ্লেষকরা। সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
গত ১১ ডিসেম্বর পার্লামেন্টে বিতর্কিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাস হওয়ার পর ১২ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বিলটিতে ভারতের প্রেসিডেন্ট রামনাথ কোবিন্দ স্বাক্ষর করলে তা আইনে (সিএএ) পরিণত হয়। এরপর থেকেই সিএএ-এর বিরুদ্ধে শুরু হয় তুমুল বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারী ও সমালোচকরা বলছেন, ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের আওতার বাইরে রেখে এই আইন করেছে, অথচ অন্যদের নাগরিকত্ব দিচ্ছে। তাঁদের মতে, সিএএ একটি সাম্প্রদায়িক আইন এবং রাজনীতি। বহুত্ববাদের ভারতে এর কোনো স্থান নেই।
নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে প্রথম দফা ভারতের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে বর্তমান বিক্ষোভকেই সবচেয়ে জোরালো প্রতিবাদ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়ে বিক্ষোভে সবচেয়ে বেশি সহিংসতা হয়েছে উত্তরপ্রদেশ রাজ্যে। সেখানে বিক্ষোভকারীরা পুলিশ চৌকিসহ কয়েকটি যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং নিরাপত্তাবাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর নিক্ষেপ করে।
আটকের ঘটনাও সবচেয়ে বেশি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। রাজ্য পুলিশ প্রধান ও পি সিং জানান, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ১০০ জনেরও বেশি বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার এবং তিন হাজার ৩০৫ জনকে আটক করা হয়েছে।
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ঘিরে চলমান বিক্ষোভে বিভিন্ন রাজ্যে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে ১৪ জন। এর মধ্যে গতকাল শুক্রবারই নিহত হয়েছে ছয়জন। সেই সঙ্গে বিক্ষোভ থেকে আটক করা হয়েছে চার হাজারেরও বেশি মানুষকে।