করোনার লক্ষণ শনাক্তকরণ নিয়ে দেবী শেঠি যা বললেন

নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহ হলেই কি স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো জরুরি? এ বিষয়ে ভারতের হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. দেবী শেঠি এক অডিও বার্তায় দিয়েছেন কয়েকটি পরামর্শ। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এ খবর জানিয়েছে।
অডিও বার্তায় ডা. শেঠি বলেন, ‘যদি কারো ফ্লু বা সর্দি থাকে, প্রথমে নিজেকে আইসোলেট (অন্যের সংস্পর্শ থেকে সরানো) করে লক্ষণ ভালো করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। প্রথম দিন শুধু ক্লান্ত লাগবে। তৃতীয় দিন হালকা জ্বর অনুভূত হবে। সেইসঙ্গে কাশি ও গলায় সমস্যা হবে। পঞ্চম দিন পর্যন্ত মাথাব্যথা থাকবে। পেটের সমস্যাও হতে পারে। ষষ্ঠ বা সপ্তম দিনে শরীরে ব্যথা বাড়বে এবং মাথাব্যথা কমতে থাকবে। তবে ডায়রিয়ার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। পেটের সমস্যা থেকে যাবে। এবার খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। অষ্টম ও নবম দিনে সব লক্ষণই চলে যাবে। তবে এ সময় সর্দির প্রভাব বাড়তে থাকে। (এমন যদি হয়) এর অর্থ, আপনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে এবং আপনার করোনা নিয়ে শঙ্কায় ভুগতে হবে না।’
তাহলে কি করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার প্রয়োজন নেই? এ প্রসঙ্গে ডা. শেঠির উত্তর, ‘এমন সময়ে আপনার করোনা পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। কারণ ততদিনে আপনার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে গেছে। যদি অষ্টম বা নবম দিনে আপনার শরীর আরো খারাপ হয়, তাহলে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নিন।’
একই সঙ্গে ডা. শেঠি ভারতের করোনা পরিস্থিতিও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ভারতের কাছে এ মুহূর্তে দেড় লাখ পরীক্ষা কিট রয়েছে। এবং সর্বাধিক দেড় কোটি মানুষের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা সম্ভব। তাই জ্বর হওয়ার দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিনেই সবার করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষার প্রয়োজন নেই। এতে সমস্যা বাড়বে।’
ডা. শেঠি আরো বলেন, ‘আমার পরামর্শ হলো, জ্বর হলেই করোনার পরীক্ষা নয়। আগে অপেক্ষা করে উপসর্গ পর্যবেক্ষণ করুন। খারাপ হলে নিজের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিন।’