করোনা মোকাবিলায় হজের জন্য জমানো অর্থ দান করলেন বৃদ্ধা

হজে যাওয়ার জন্য অর্থ জমিয়েছিলেন ভারতের ৮৭ বছরের এক বৃদ্ধা। করোনা মোকাবিলায় সে অর্থ তিনি তুলে দিলেন ভারতের রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবকের (আরএসএস) তহবিলে।
অধুনালুপ্ত জনসংঘের প্রয়াত নেতা পীর মোহাম্মদ খানের নাতনি খালিদা বেগম। ছোটবেলা থেকেই কনভেন্ট স্কুলে পড়াশোনা করেছেন তিনি। শেষ জীবনে এসে খালিদা বেগম হজযাত্রার জন্য পাঁচ লাখ রুপি সঞ্চয় রেখেছিলেন। কিন্তু ভারতে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তাঁর ইচ্ছায় পরিবর্তন এনেছে। ভারতে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনার সংক্রমণ। দেশটির জম্মু-কাশ্মীরে করোনা মোকাবিলায় কাজ করছে আরএসএসের অঙ্গসংগঠন সেবা ভারতী। করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউনের মধ্যে সেবা ভারতীর কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে খালিদা বেগম হজযাত্রার জন্য গচ্ছিত অর্থ আরএসএসের তহবিলে দান করার সিদ্ধান্ত নেন।
জম্মু-কাশ্মীরে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ৪৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ ছাড়া আক্রান্তদের সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, খালিদা বেগমের ছেলে ফারুক খান ভারতের অবসরপ্রাপ্ত আইপিএস অফিসার। তিনি জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরের পরামর্শদাতা হিসেবে নিযুক্ত রয়েছেন।
এদিকে, অর্থদানের জন্য খালিদা বেগমকে অভিনন্দন জানিয়েছে আরএসএস। সংগঠনটি জানিয়েছে, সেবা ভারতীর সমাজসেবামূলক কাজে উদ্বুদ্ধ হয়ে খালিদা বেগম করোনা মোকাবিলার জন্য পাঁচ লাখ রুপি দান করেছেন। তিনি গরিব কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়াতে চেয়েছেন। তাঁর ইচ্ছার যোগ্য মর্যাদা দেওয়া হবে।
অন্যদিকে, করোনার আতঙ্কের এ অসময়ে কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়াতে পেরে খুশি বৃদ্ধ খালিদা বেগম। তিনি জানিয়েছেন, এ মুহূর্তে হজযাত্রার চেয়ে সবচেয়ে বেশি দরকার মানুষের পাশে দাঁড়ানো। তাই গরিব কাশ্মীরিদের পাশে দাঁড়াতে পেরে তিনি আনন্দ বোধ করছেন।