করোনা সংকটের মধ্যেই বন্যার কবলে আসাম

ভারতে অন্য রাজ্যে আটক পরিযায়ী শ্রমিকরা আসাম রাজ্যে ফেরার পর থেকেই সেখানে নভেল করোনাভাইরাসে সংক্রমিতের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। এরই মধ্যে বছরের প্রথম বন্যায় আক্রান্ত হলো আসাম।
আসামে গতকাল সোমবার করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০০ ছাড়িয়ে যায়। পাশাপাশি ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ধাক্কায় শুরু হওয়া প্রবল বর্ষণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের পাঁচ জেলা। লখিমপুর, ধেমাজি, ডিব্রুগড়, ডারাং ও গোয়ালপাড়ায় বন্যাকবলিত মানুষের সংখ্যা ৩০ হাজারের বেশি। ১২৭টি গ্রাম বন্যার কবলে পড়েছে। এরই মধ্যে পানির তলায় ৫৭৯ হেক্টর শস্যের জমি। রাজ্য সরকার বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এ খবর জানিয়েছে।
আসামে গতকাল সোমবার একদিনের হিসেবে রেকর্ডসংখ্যক ১৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। সেখানে সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৪৮ জনে। তাদের মধ্যে ৬২ জন সুস্থ হয়েছে, মারা গেছে চারজন।
বন্যায় সবচেয়ে করুণ অবস্থা গোয়ালপাড়ার। সেখানে ৮৯টি গ্রামের প্রায় ২৩ হাজার মানুষ বন্যাকবলিত। জেলায় ৩৩টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। সেখানে আট হাজার মানুষকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আসাম দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ একথা জানিয়েছে।
আসামের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গতকাল সোমবার জানান, করোনা সংকটের সময়ে এ ভয়াবহ বন্যার ভ্রুকূটির সামনে রাজ্যের বাইরে আটক ব্যক্তিদের উচিত ১০ জুনের মধ্যে রাজ্যে ফিরে আসা। তাহলে রাজ্য বন্যা মোকাবিলায় লক্ষ্য সুনির্দিষ্ট করতে পারবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা গতকাল সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী সাত দিনে কিছু মানুষের ফেরার কথা রয়েছে। স্বাস্থ্য দপ্তর অন্যান্য দপ্তরের সঙ্গে সংযোগ রেখে তাদের পরীক্ষা ও কোয়ারেন্টিনের দিকটি দেখছে। আমরা চাই মানুষ তাড়াতাড়ি ফিরে আসুক। দ্রুত বিষয়টি সম্পন্ন হোক। কেননা আমাদের বন্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। আসামের দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখলে আগামী ১০ জুনের মধ্যে সবাই ফিরে আসুক, এটাই আমরা চাই। তাহলে আমরা ১৪ দিন (কোয়ারেন্টিন) পাব এবং আগামী ৩০ জুনের মধ্যে বিষয়টি শেষ করতে পারব। জুলাইয়ে বন্যা হবে। যদি বিমান সংস্থাগুলো আরো লোক আনতে চায়, তাদের আনতে দিন।’