কাশ্মীরের শ্রীনগরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ৩
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/big_3/public/images/2021/12/31/2021-12-30t214658z_1549022268_rc2yor9fccj2_rtrmadp_3_health-coronavirus-mexico_1.jpg)
ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের শ্রীনগরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিনজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও কিছু লোক।
পাঠানচকে রাতভর এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে চলতি মাসে পুলিশ বাসে হামলার সঙ্গে জড়িত জইশ-ই-মোহাম্মদের এক সদস্যও রয়েছেন বলে দাবি পুলিশের।
বন্দুকযুদ্ধে পুলিশের তিন সদস্য এবং সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের এক সদস্য আহত হয়েছেন বলে প্রশাসনের বরাতে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।
আজ শুক্রবার পুলিশের কর্মকর্তারা বলেছেন, পাঠানচকে বন্দুকযুদ্ধে নিহত জইশ-ই-মোহাম্মদের সদস্য সুহাইল আহমেদ রাঠের শ্রীনগরের উপকণ্ঠে জেওয়ান ক্যাম্পের কাছে পুলিশের এক বাসে হামলা করেছিলেন। ভয়াবহ ওই ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্যের মৃত্যু হয়েছিল।
![](http://103.16.74.218/sites/default/files/styles/infograph/public/images/2021/12/31/capture_0.jpg 687w)
কাশ্মীর জোনাল পুলিশ বলছে, পাঠানচকে নিরাপত্তা বাহিনীর এই অভিযানের মধ্য দিয়ে জম্মু-কাশ্মীরে পুলিশ সদস্যদের ওপর হওয়া সশস্ত্র আক্রমণে জড়িত সকলকে ‘নির্মূল’ করা গেল। এ নিয়ে গেল ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে মোট তিনটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটল। এতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে নয়জনে দাঁড়াল।
এর আগে অনন্তনাগ ও কুলগাম জেলায় দুটি পৃথক গোলাগুলির ঘটনায় দুই পাকিস্তানি নাগরিকসহ জইশ-ই-মোহাম্মদের (জেইএম) ছয় সদস্য নিহত হয়। আর সেই ঘটনাগুলোর পর পাঠানচকের অভিযান পরিচালিত হলো বলে জানিয়েছে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
উল্লেখ, গত ১০ ডিসেম্বর কাশ্মীরের বান্দিপোরায় গুলশান চক এলাকায় বিচ্ছিন্নতাবাদীদের হামলায় দুই পুলিশ সদস্য প্রাণ হারান। মূলত সেই ঘটনার মাত্র তিনদিনের মাথায় পুলিশ বাসে আক্রমণের ঘটনা ঘটে।