কেরালায় বৃষ্টি ও ভূমিধসে ১৯ জনের মৃত্যু

ভারতের কেরালা রাজ্যের ইদুক্কি ও কোট্টায়াম জেলায় ভারি বৃষ্টি ও ভূমিধসের ঘটনায় অন্তত ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার ও সোমবার প্রভু আয়াপ্পা ভক্তদের প্রদেশের সবরিমালা মন্দির পরিদর্শনে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়, কেরালার এর্নাকুলাম, ইদুক্কি, ত্রিশুর, কোট্টায়াম, পাথানএনথিডা জেলায় অতি ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে এমন সম্ভাবনায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। এসব জেলায় ২০ সেন্টিমিটারেরও বেশি বৃষ্টি হতে পারে বলে ভারতীয় আবহাওয়া বিভাগের (আইএমডি) পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল।
পাশাপাশি তিরুবানন্তপুরম, কোল্লাম, আলাপুসা, পালাক্কাড, মালাপুরম, কোলিকোডে ওয়াইয়ানাডে অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল। এসব জেলায় ভারি থেকে অতি ভারি বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল। রাজ্যটির আরও দুটি জেলায় ইয়েলো অ্যালার্ট জারি করা হয়েছিল।
ভারি বৃষ্টিতে কোট্টায়াম ও ইদুক্কির কয়েকটি এলাকায় ভূমিধস হয়েছে। এ ছাড়া কোট্টায়ামে ১২ জন নিখোঁজ রয়েছেন।
রাজ্যটির বেশ কয়েকটি বাঁধে রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। শনিবার সকালে প্রথম অরেঞ্জ অ্যালার্ট জারি করার পর থেকেই নিম্নপ্রবাহের নদীগুলোতে বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়া শুরু হয়েছিল। আশপাশের জেলাগুলোতে ভারি বৃষ্টির ফলে বাঁধের আশপাশের এলাকাগুলোর নদী-নদীতে পানি বাড়তে শুরু করেছে।

জলাশয়ের পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় মানিয়ার বাঁধের সবগুলো গেট খুলে দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সরকারের অনুরোধে ভারতীয় সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী পরিস্থিতি মোকাবিলায় বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা করতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছ।
বন্যা কবলিত এলাকায় সেনাবাহিনী তাদের সদস্যদের মোতায়েন করেছে। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় এয়ার কমান্ড তাদের অধীনস্ত সবগুলো ঘাঁটিকে উচ্চ সতর্কাবস্থায় থাকার নির্দেশ দিয়ে এমআই-১৭ ও সারাং হেলিকপ্টার প্রস্তুত করে রেখেছে।