গোটা দিল্লি যেন গ্যাস চেম্বার, দূষণ প্রসঙ্গে কেজরিওয়াল

ভারতের দিল্লি শহরে বায়ুদূষণ এতটাই চরমে পৌঁছেছে যে মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বলেছেন, গোটা দিল্লি যেন একটি গ্যাস চেম্বারে পরিণত হয়েছে। এ জন্য তিনি দিল্লিসংলগ্ন হরিয়ানা ও পাঞ্জাব রাজ্যের সরকারকে দায়ী করছেন।
গত পাঁচ বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা দেখা দিয়েছে দিল্লিতে। শুক্রবার সকালে বায়ুর মান ৪১২ একিউআই মাত্রায় নেমে এসেছে।
দূষণের মাত্রা বাড়ার পর ৫০ লাখ মাস্ক কিনেছে দিল্লি সরকার। সরকারি ও বেসরকারি স্কুলের শিক্ষার্থীদের দুটি করে মাস্ক দেওয়া হচ্ছে।
পাঞ্জাব ও হরিয়ানা রাজ্যের কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য ফসল কাটার পর ক্ষেতে আগুন দিয়ে অবশিষ্ট অংশ পুড়িয়ে দেন। এর ফলে যে ধোঁয়া সৃষ্টি হয়, তা দিল্লির বায়ুদূষণে বিরাট ভূমিকা রাখছে। আবহাওয়া পর্যবেক্ষক সংস্থার তথ্যমতে, গত বুধবার দিল্লির বায়ুদূষণের ৩৫ শতাংশই এই ধোঁয়ায় হয়েছে। পরদিন বৃহস্পতিবার এটি ছিল ২৪ শতাংশ এবং আজ শুক্রবার তা ২৫ শতাংশে দাঁড়াতে পারে।
বিরোধীদল কংগ্রেস ও ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার দূষণ রোধে ব্যর্থতার জন্য আম আদমি পার্টির নেতা ও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দোষারোপ করে আসছে। এ কারণে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং ও হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাত্তারকে একহাত নিয়েছেন কেজরিওয়াল।

আজ শুক্রবার মাস্ক বিতরণকালে স্কুল শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তোমরা ক্যাপ্টেন আঙ্কেল ও খাত্তার আঙ্কেলের কাছে চিঠি লেখো, তাঁরা যেন তোমাদের স্বাস্থ্যের কথা ভাবেন। খাত্তার ও ক্যাপ্টেন সরকার কৃষকদের ফসলের নাড়া কাটতে বাধ্য করছে, যার ফলে ব্যাপক দূষণ সৃষ্টি হচ্ছে।’
ফসলের ক্ষেতের আগুন থামাতে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত মঙ্গলবার হরিয়ানা ও পাঞ্জাব সরকারের প্রতি অনুরোধ করেন কেজরিওয়াল।
অন্যদিকে পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে মিথ্যাবাদী বলে আখ্যায়িত করেছেন। তিনি বলেন, ‘কৃষকরা ফসলের অবশিষ্ট অংশ যাতে না পোড়াতে হয়, এ জন্য কৃষকদের যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সক্ষমতা অর্জনে ৫০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত ভর্তুকি দেয় পাঞ্জাব সরকার।’