গ্রেপ্তারের জন্য মাওলানা সাদকে খুঁজছে পুলিশ

সরকারি নির্দেশ অমান্য করে জমায়েতের মাধ্যমে করোনাভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগে ভারতের তাবলীগ জামাতের শীর্ষ নেতা মাওলানা সাদ কান্দলভি ও নিজামুদ্দিন মারকাজ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এরপর থেকে মাওলানা সাদকে গ্রেপ্তারের জন্য খুঁজছে পুলিশ, খবর ইন্ডিয়া টিভি।
জানা গেছে, সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজ তাবলিগ জামাতের বড় জমায়েত হয়েছিল। সেখান থেকে করোনা সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। নিজামুদ্দিনের ওই মসজিদে যোগ দেওয়ার পর মোট সাতজন মারা গেছেন।
ভারতের ১৮৯৭ সালের এপিডেমিক ডিজিস অ্যাক্ট ও ভারতীয় দণ্ডবিধির অন্য ধারা অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, ওই মসজিদে মুসলিম সম্প্রদায়ের ধর্মীয় সমাবেশ করার পর থেকে ভারতজুড়ে ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস।
ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, গত ১ জানুয়ারি থেকে সেখানে প্রায় দুই হাজার ১০০ জন বিদেশি অংশ নিয়েছিল। সবাই দিল্লির নিজামুদ্দিনের হেডকোয়ার্টারে গিয়েছিল আগে। সেখান থেকেই ছড়াতে শুরু করে করোনাভাইরাস।
ওই দুই হাজার ১০০ জন বিদেশির মধ্যে আবার অনেকেই গত ২১ মার্চ পর্যন্ত ভারতে ছিল। ওই ধর্মীয় অনুষ্ঠানে ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকেও বহু মানুষ অংশ নিয়েছিল। তার মধ্যে আবার ২১৪ জন অবস্থান করেছে নিজামুদ্দিন মারকাজে। সেখান থেকেই ছড়াতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস।
এরই মধ্যে এক হাজার ২০৩ জন তাবলিগ জামাত কর্মীর করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তার মধ্যে ৩০৩ জনের করোনা সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। বাকিদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।
মূলত ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, থাইল্যান্ড, নেপাল, মিয়ানমার, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কাসহ বিভিন্ন দেশ থেকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ এই ধর্মীয় সভায় যোগ দিয়েছিল।
জানা যায়, এই মসজিদটিতে একটি ধর্মীয় সমাবেশ উপলক্ষে এ মাসের মাঝামাঝি অন্তত দুই থেকে আড়াই হাজার লোক সমবেত হয়েছিল। শহরের একটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি এলাকায় একটি ছয়তলা ভবনে তারা সবাই গাদাগাদি করে অবস্থান করেছিল।