চাকরির পাশাপাশি ট্যাক্সি চালাতেন পুতিন

নব্বইয়ের দশকের শুরুতে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের সময়কার দুঃখগাথা তুলে ধরেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এক প্রামাণ্যচিত্রে তিনি জানিয়েছেন, ১৯৯১ সালে তাঁকে চাকরির পাশাপাশি ট্যাক্সিচালক হিসেবে কাজ করতে হয়েছিল। সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল রোববার প্রচারিত ‘রাশিয়া, লেটেস্ট হিস্ট্রি’ নামের প্রামাণ্যচিত্রে ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘মাঝে মধ্যে আমাকে বাড়তি আয় করতে হতো। মানে, ব্যক্তিগত গাড়ি চালিয়ে বাড়তি রোজগার করা লাগতো।’
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন নিয়ে পুতিন বলেন, ‘এটি ছিল ঐতিহাসিক রাশিয়ার ভাঙন।’
সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনে বহু রুশ নাগরিককে আয়ের ভিন্ন ভিন্ন পথ খুঁজে নিতে হয়েছিল।
পুতিন বলেন, ‘সত্যি বলতে এ বিষয়ে কথা বলাটা কষ্টের, কিন্তু বাস্তবে পরিস্থিতি এমনই ছিল।’
রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থা কেজিবিতে কাজ করতেন ভ্লাদিমির পুতিন। ১৯৯১ সালে তিনি কেজিবি ছেড়ে দেন। ওই বছরের আগস্টে তৎকালীন সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট মিখাইল গর্ভাচেভের বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সোভিয়েত সাম্রাজ্যের পতন হয়।
পুতিন কেজিবি ছেড়ে সেইন্ট পিটার্সবার্গের মেয়র আনাতোলি সবচাকের অফিসে যোগ দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

পশ্চিমাদের কাছে হয়তো সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন অবশ্যম্ভাবী ছিল, কিন্তু পুতিনের কাছে নিশ্চয়ই তা ট্র্যাজেডিই ছিল। তবে সে সময় তাঁর ব্যক্তিজীবনের চড়াই-উৎরাই সম্পর্কে তেমন কিছু জানা ছিল না। এ বর্ণনা একেবারে নতুন।
পুতিনের এসব কথা এক সময় সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ থাকা ইউক্রেন বিষয়ে জনমত তৈরিতে কাজে লাগতে পারে। রাশিয়া এরই মধ্যে ইউক্রেন সীমান্তে ৯০ হাজারের বেশি সৈন্য মোতায়েন করেছে। ধারণা করা হচ্ছে, যেকোনো সময় আগ্রাসন চালানো হতে পারে। যদিও রাশিয়া এমন আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছে। আক্রমণের পরিকল্পনার অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া।