দিল্লির আগুন নেভাতে মাঠে নামলেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল

দিল্লিতে সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকায় স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালকে। বুধবার সন্ধ্যায় সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললেন তিনি।
এ সময় অজিত দোভাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এখানে শান্তি ফিরবে। পরিস্থিতি পুরোই নিয়ন্ত্রণে আছে। মানুষ সন্তুষ্ট। আইন বিভাগের ওপর আমার আস্থা আছে। পুলিশ তাদের কাজ করছে।’
সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, দিল্লির জাফরাবাদে পুলিশের একটি বিশেষ বাহিনী নিয়ে গেছেন অজিত। গত রোববার থেকে উত্তপ্ত জাফরাবাদ। নাগরিকত্ব আইন নিয়ে দিল্লিতে চার দিনের সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ২৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা ২০০।
অজিত দোভাল জানান, তাঁকে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। দিল্লি পুলিশ রয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের অধীনে, ফলে সংঘর্ষে উত্তপ্ত এলাকায় অজিত দোভালকে পাঠানো নিয়ে ভ্রু কুঁচকেছেন অনেকেই।
চলতি সপ্তাহের শুরুর দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ভারত সফরের মধ্যেই দিল্লিতে চরম বিক্ষোভ শুরু হয়। ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) নেতৃত্বাধীন নরেন্দ্র মোদি সরকার সিএএ পাস করানোর পর থেকেই বিতর্কিত আইনটির পক্ষে-বিপক্ষে দিল্লিতে বিক্ষোভ তুঙ্গে ওঠে। সমালোচকরা বলছেন, ভারতের অসাম্প্রদায়িক সংবিধান লঙ্ঘন করা সিএএ মুসলিমদের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে দিল্লি গতকাল মঙ্গলবারও ছিল অগ্নিগর্ভ। প্রকাশ্যেই চলেছে গুলি।
দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দিল্লিতে সহিংসতার ঘটনা ক্রমে ব্যাপক আকার ধারণ করছে। গতকাল মঙ্গলবার বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে পাথর ছোড়া, অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত দেড়শ জন আহত হয়েছেন।
জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার সারা দিনই দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় দিল্লির ভজনপুরায়। লাঠি ও রড নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়ে দুই গোষ্ঠীর লোকজন। চাঁদবাগে দোকানপাট ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা। পুলিশ সে সময় কোনো পদক্ষেপ নেয়নি বলে দাবি এলাকার মানুষের। পুলিশের সংখ্যাও কম ছিল বলে দাবি করা হয়েছে।