দিল্লির নির্বাচনে ভোট দিলেন বরিশালের কালীতারা

ভারতের দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে আজ শনিবার ভোট দিয়েছেন ওই অঞ্চলের প্রবীণতম ভোটার কালীতারা মণ্ডল। দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্ক এলাকার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন তিনি।
কালীতারা মণ্ডলের জন্ম তৎকালীন অবিভক্ত ভারতে (বর্তমান বাংলাদেশের বরিশালে) ১৯০৮ সালে। পড়ে গেছে তাঁর সব দাঁত। এই উপমহাদেশকে নানা ভাঙাগড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে দেখেছেন তিনি। ভারতে দুই দফা শরণার্থী হিসেবে কাটাতে হয়েছে তাঁকে। অবশেষে আবাস হয়েছে ভারতের রাজধানীতে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের ভোটদানের অভিজ্ঞতার কথা বলেছেন ভারতের প্রায় সবকটি নির্বাচন দেখা ও তাতে ভোট দেওয়া কালীতারা মণ্ডল। স্মৃতি হাতড়ে জানিয়েছেন ব্যালটে ভোট দেওয়ার অভিজ্ঞতাও।
কালীতারা মণ্ডল বলেন, ‘হ্যাঁ, মনে পড়ে, ওরা (নির্বাচনী কর্মকর্তারা) আমার আঙুলের ছাপ নিত। তারপর ব্যালট পেপারটা ভাঁজ করে বাক্সে ফেলতে হতো। আমি বড় মেশিনেও (ইভিএম) ভোট দিয়েছি।’
১৯৭১ সালের পর থেকে কালীতারার পরিবার দিল্লির চিত্তরঞ্জন পার্কের বাসিন্দা। কালীতারার ছেলে সুখরঞ্জন বলেন, ‘মা ভোট দিতে বেশ আগ্রহী। গত বছর লোকসভা নির্বাচনের সময়ও বুথে গিয়ে ভোট দিয়ে এসেছিলেন। এবারও আঙুলে কালি লাগাতে উৎসুক তিনি।’

এক জ্যেষ্ঠ নির্বাচনী কর্মী পিটিআইকে বলেন, ‘আমরা তাঁর ও তাঁর পরিবারের জন্য গাড়ির ব্যবস্থা করেছি।’
শত বর্ষ পেরিয়ে আসা কালীতারা মণ্ডল দিল্লির সব ভোটারদের উদ্দেশে বলেন, ‘গণতন্ত্রের উন্নতি হয় মানুষের অংশগ্রহণে। সবার উচিত ভোট দেওয়া, কেননা প্রতিটি ভোট গুরুত্বপূর্ণ।’
বয়স ১০০ পেরিয়েছে, দিল্লিতে এমন ভোটার আছেন ১৩২ জন। তাঁদের মধ্যে ৬৪ জন নারী। নির্বাচনী কর্মকর্তারা জানিয়েছেন ভোটের দিন ওই ১৩২ জনকে ‘ভিআইপি’ হিসেবে গণ্য করা হবে।
ভারতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন-সিএএ এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জি বা এনআরসি নিয়ে বিক্ষোভের মাঝেই দিল্লির ভোটযুদ্ধ পেয়েছে আলাদা মাত্রা। এক কোটি ৪৭ লাখ ভোটার নির্ধারণ করবেন প্রার্থীদের ভাগ্য।
দিল্লিতে এবারও ত্রিমুখী ভোটের লড়াইয়ে নেমেছে আম আদমি পার্টি, বিজেপি ও কংগ্রেস। সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে আম আদমি পার্টি। অন্যদিকে শরিকদের সঙ্গে নিয়ে লড়েছে বিজেপি ও কংগ্রেস। এলজেপি ও জেডিইউকে তিনটি আসন ছেড়ে বিজেপি, আর কংগ্রেস আরজেডিকে ছেড়েছে চারটি আসন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জিনিউজ এসব তথ্য জানিয়েছে।