‘দিল্লি কা লাড্ডু’ : কেজরিওয়ালের প্রত্যাবর্তন, নাকি পরিবর্তন?

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বাধীন আম আদমি পার্টি (এএপি) ভারতের দিল্লিতে তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় বসবে নাকি ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)? তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আজকের (সোমবার) রাতটি।
গত শনিবার ৭০টি আসনে দিল্লি বিধানসভার ভোট গ্রহণ করা হয়। ভোট গ্রহণের পরই শুরু হয় বুথফেরত জরিপ বা এক্সিট পোল। ভোট শেষে যতগুলো বুথফেরত সমীক্ষার ফল জানা গেছে, প্রতিটিই বলেছে, এবারো সরকার গড়ছে কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি।
জরিপ অনুযায়ী ৭০ আসনবিশিষ্ট বিধানসভায় আম আদমি পার্টি সবচেয়ে কম হলে ৪০টি আসন পাবে আর সবচেয়ে বেশি হলে পাবে ৬১টি। বিজেপি, যারা গত নির্বাচনে মাত্র ৩টি আসন জিতেছিল ও ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটের নিরিখে ৫৯টি বিধানসভায় এগিয়ে ছিল, তারা এবারের বুথ ফেরত সমীক্ষায় ১০ থেকে ২৬টি আসন পেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসের ঝুলিতে খুব বেশি হলে এবার ১ থেকে ৩টি আসন আসতে পারে বলে কোনো কোনো সমীক্ষা মনে করছে।
তবে বুথফেরত জরিপে আম আদমি পার্টির জয়জয়কার হলেও নির্বাচনের ভোট শেষে প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরোলেও ভোট পড়ার হার না জানানোয়, নির্বাচন কমিশনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন কেজরিওয়াল। যদিও গতকাল রাতে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ৬২.৫৯ শতাংশ ভোট পড়েছে।
গতকাল রোববার বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে এক টুইটবার্তায় দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমি পার্টির প্রধান কেজরিওয়াল আশঙ্কা প্রকাশ করেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে ভোট জালিয়াতি করার চেষ্টা হয়ে থাকতে পারে। তাঁর অভিযোগ, শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় ভোট শেষ হলে, দিল্লির এক কোটি ৪৭ লাখ ভোটারের কতজন ভোট দিয়েছেন তা আনুষ্ঠানিকভাবে এখনো কেন জানাল না নির্বাচন কমিশন।
যদিও আনুমানিক ৫৭ দশমিক ০৬ ভাগ ভোট পড়েছে বলে গত শনিবারই তাৎক্ষণিকভাবে জানিয়েছিল ইসি। পরে গতকাল রোববার রাতে তারা সুনির্দিষ্ট ৬২.৫৯ শতাংশ ভোটের কথা জানিয়ে দেয়।
এদিকে কেজরিওয়াল আজ সোমবার সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর সরকার ভর্তুকি দিয়ে কম মূল্যে জনগনকে বিদ্যুৎ সেবা দিতে সক্ষম হয়েছে। আর তাই এবারো সরকার গঠনে এগিয়ে থাকবে তাঁর দল।