দুমুখো সাপটিকে উদ্ধার করতে বন বিভাগকে গ্রামবাসীর বাধা!

দুমুখো সাপের কথা প্রায়ই শোনা যায়। তবে খুব একটা দেখা মেলে না। এবার দুমুখো সাপের খোঁজ মিলেছে একটি গ্রামে। কিন্তু পৌরাণিক কাহিনীতে বিশ্বাসী গ্রামবাসীরা ওই সাপটিকে উদ্ধার করতে দেয়নি।
সম্প্রতি এই দুই মাথাওয়ালা সাপের দেখা পাওয়া গেছে ভারতের মেদিনীপুরের একটি গ্রামে।
প্রাণি বিজ্ঞানীরা জানিয়েছে, সাপটির জৈবিক সমস্যার কারণে দুই মাথা হতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, কুসংস্কারে বিশ্বাসী ওই গ্রামের বাসিন্দাদের জোরাজুরির কারণে জোড়া মাথার সাপটিকে উদ্ধার করতে পারেনি বন বিভাগ। বন বিভাগের সরীসৃপ বিশারদ কৌস্তভ চক্রবর্তী জানান, অনেক চেষ্টা করেও সাপটিকে উদ্ধার করতে পারেননি তিনি।
তিনি আরও জানান, পৌরাণিক কাহিনীতে বিশ্বাসী একরোখা গ্রামের লোকজন সাপটিকে কিছুতেই বন বিভাগের কাছে তুলে দিতে চাননি। এটি সম্পূর্ণ একটি জৈবিক সমস্যা। অনেক সময় আমরা দেখি একজন মানুষের ২টি মাথা কিংবা ২টি বুড়ো আঙুল রয়েছে।
ঠিক একইভাবে এই সাপেরও ২টি মাথা রয়েছে। এটার সঙ্গে পৌরাণিক বিশ্বাসের কোনো সম্পর্ক নেই, এমনকি অলৌকিকতারও কিছু নেই। এ জাতীয় প্রজাতিকে আলাদা করে রাখা গেলে তাদের আয়ু বৃদ্ধি পায়। যদি সংরক্ষণ করা যায়, তাহলে এই সাপের আয়ু বাড়ানো যেতে পারে।
প্রাণি বিজ্ঞানী সোমা চক্রবর্তী জানান, জোড়া মাথার এই সাপ ন্যাজা কটিয়া প্রজাতির অন্তর্ভুক্ত। এই প্রজাতির সাপকে বাংলায় খড়িশ সাপ বলা হয়। বিষ থাকলে কালনাগ নামেও ডাকা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে কোনো পৌরাণিক বিষয় ও অলৌকিক কোনো কিছুর সম্পর্ক নেই।
সাপের দুটো মাথা হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। হতে পারে ভ্রূণের বিভাজনের সময় দুটো মাথা হয়ে গেছে। আবার পরিবেশগত কিছু কারণেও দুই মাথা হতে পারে।